নয়াদিল্লি : নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের আমলে ভারতে সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের ওপর নির্লজ্জ আক্রমণ নিয়ে প্রথমসারির মার্কিন দৈনিক ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’ পত্রিকায় পাতা জুড়ে একটি সাদা-কালো বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে। জেলবন্দি ৬ জন লেখক ও সাংবাদিকের ছবি দিয়ে ওই বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র। তবুও এই দেশ সংবাদমাধ্যমের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশগুলির মধ্যে একটি। মোদি জমানায় এদেশে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ক্রমবর্ধমান হুমকির মধ্যে রয়েছে। সাংবাদিকরা শারীরিক সহিংসতা, হয়রানি, মিথ্যা মামলার শিকার হচ্ছেন। এমনকী, সোশ্যাল মিডিয়াতে ঘৃণামূলক প্রচারের সম্মুখীন হচ্ছেন।
আরও পড়ুন-১৯ বছরে ম্যাসিভ কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মৃত্যু দ্বাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রীর
সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সরব আমেরিকা-সহ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের ৮টি সংগঠন যৌথভাবে এই বিজ্ঞাপন দিয়েছে। সংগঠনগুলি হল কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে), ইন্টারন্যাশনাল প্রেস ইনস্টিটিউট (ভিয়েনা), ইন্টান্যাশনাল উওম্যানস মিডিয়া ফাউন্ডেশন (ওয়াশিংটন), জেমস ডব্লিউ ফলে লিগ্যাসি ফাউন্ডেশন (ইংল্যান্ড), দ্য ন্যাশনাল প্রেস ক্লাব (ওয়াশিংটন), রিপোর্টার্স কমিটি ফর ফ্রিডম অব প্রেস (ভার্জিনিয়া), ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অফ নিউজপেপার অ্যান্ড নিউজ পাবলিশার্স (জার্মানি), রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার (প্যারিস)।
আরও পড়ুন-স্থানীয়দের সৌজন্যে অল্পের জন্য দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচল সংঘমিত্রা এক্সপ্রেস
যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত ওই বিজ্ঞাপনে সংবাদপত্রের ওপর আক্রমণ বন্ধে বিশ্ব নেতাদের উদ্দেশে আবেদন জানিয়ে বলা হয়েছে, গণমাধ্যম মুক্ত থাকার ওপরই গণতন্ত্র নির্ভরশীল। এর আগে একই কথা লেখা হয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার সম্পাদকীয়তেও। মোদির আমেরিকা সফর শুরুর চার দিন আগে সেই সম্পাদকীয়তে লেখা হয়, আমেরিকার অবশ্যই উচিত ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদির আমলে গণতান্ত্রিক ভারতের উদ্বেগজনক ক্রমাবনতিতে আমেরিকা নীরব থাকতে পারে না।
আরও পড়ুন-‘ওয়ান ইজটু ওয়ান লড়াই হবে’ বিরোধী দলগুলির মেগা বৈঠকে যোগ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
রাশিয়ার নিন্দা না করে ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের ডাক দিয়েছেন মোদি। মায়ানমারের সামরিক শাসকদের ভারত অস্ত্র বিক্রি করে চলেছে। এই ধরনের কাজ বন্ধে মোদিকে বাইডেনের চাপ দেওয়া উচিত। এগুলি বন্ধ হওয়া দরকার। একইসঙ্গে মোদি জমানায় গণতন্ত্রের স্খলন, সংখ্যাগরিষ্ঠ উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদের ধুয়ো তুলে মুসলিম ও অন্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বৃদ্ধি, মুক্তমনা নাগরিক ও সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধের মতো বিষয়গুলিও মোদির সঙ্গে বৈঠকে বাইডেনের তুলে ধরা উচিত।