প্রতিবেদন : পরিবেশ দূষণ-সহ নানা কারণে মানুষের অসুখ-বিসুখ ক্রমশই বাড়ছে। আজকাল প্রায় প্রতিটি বাড়িতে নিয়মিত ওষুধ কিনতে হয়। কিন্তু দেশের বাজারে ওষুধের মাত্রাছাড়া দামে নাভিশ্বাস উঠেছে মানুষের। এই অবস্থায় ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি ১২৭টি ওষুধের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি বেশ কিছু ওষুধের দাম বাড়ানোও হয়েছে।
আরও পড়ুন-যাত্রীদের সুবিধার্থে নয়া প্রযুক্তিতে এবার তল্লাশি বিমানবন্দরে
ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটির বৈঠকে প্যারাসিটামল, অ্যামোক্সিসিলিন, মেটামরফিন, রেবেলপ্রাজল-এর মতো ১২৭টি ওষুধের দাম কমানো হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় এই ওষুধগুলির দাম কমলে সাধারণ মানুষ কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন। তবে বেশ কিছু ওষুধের দাম বাড়ানোও হয়েছে। যার মধ্যে টাইপ টু ডায়াবেটিসের মতো রোগের ওষুধ আছে। এই মুহূর্তে দেশের বহু মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। তাই ওষুধের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তে তাঁরা নিশ্চিতভাবেই সমস্যায় পড়বেন।
আরও পড়ুন-পুরুলিয়ার জনসভায় কড়া ভাষায় তোপ চন্দ্রিমার, আবাস যোজনায় অশান্তির দায় কেন্দ্রের
কয়েকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধের দাম কমানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিভিন্ন ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা ও বিক্রেতারা। অল ইন্ডিয়া অর্গানাজেশন অফ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্টের জেনারেল সেক্রেটারি রাজীব সিংঘল বলেছেন, তাঁরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছেন। তবে ওষুধ তৈরির জন্য বিভিন্ন জিনিসের দাম অনেকটাই বেড়েছে। তাই উৎপাদনকারী পক্ষে দাম কমানো খুবই কঠিন। ওষুধের দাম যতটা কমানো দরকার আদৌ ততটা কমবে কি না সে বিষয়ে সন্দিহান আমজনতা। তাছাড়া তাঁরা মনে করছেন, প্রয়োজনের তুলনায় হাতেগোনা কয়েকটি ওষুধের দামই কমানো হয়েছে।