প্রতিবেদন : ২০১১ সালে ক্ষমতায় এসে রাজ্যে শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ শুরু করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বিশেষত উচ্চশিক্ষার প্রসারে আলাদাভাবে নজর দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পাশাপাশি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিও এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে। রাজ্য সরকারের বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন বা বিজিবিএস-এও চালু হয়েছে এডুকেশন কনক্লেভ। ২১ নভেম্বর এ-বছরের বিজিবিএস বা শিল্প সম্মেলন।
আরও পড়ুন-রাজ্যপাল নিযুক্ত উপাচার্যরা ‘অনুপ্রবেশকারী’ তোপ ব্রাত্যর
সেখানেই হবে এডুকেশন কনক্লেভ। তার আগেই শনিবারই স্বভূমিতে হয়ে গেল তার মহড়া। ‘এডুকেশন সিম্পোজিয়াম’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু-সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা একসুরে শিক্ষাক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের ঢালাও প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠানের সহযোগিতায় ছিল সিআইআই বা কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি। অনুষ্ঠানে অন্যতম বিষয় ছিল ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল : দ্য ইমার্জিং ডেস্টিনেশন অফ এডুকেশনাল ইনভেস্টমেন্ট’। শিক্ষাক্ষেত্রে এই রাজ্য যে বিনিয়োগকারীদের গন্তব্য হয়ে উঠেছে এই অনুষ্ঠানে তা তুলে ধরেন আমন্ত্রিত বক্তারা।
আরও পড়ুন-ফের রবিবার ভূমিকম্প নেপালে, হতাহতের খবর নেই
শিক্ষাক্ষেত্রে বাংলার ঐতিহ্যের দিকটিও তুলে ধরেন তাঁরা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত অ্যাডামাস বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা শিক্ষাবিদ সমিত রায়ও রাজ্য সরকারকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন। তিনি বলেন, স্কুলছুট মানেই আমাদের ভবিষ্যতের মেধাকে হারানো। তাই যে কোনও মূল্যে স্কুলছুট আটকাতে হবে। এ ছাড়াও উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রেও রাজ্য সরকারের প্রশংসা করেন। সভায় ভার্চুয়ালিও যোগ দেন একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা। তাঁরা সকলেই একমত— এগিয়ে থাকা বাংলাই এখন শিক্ষাক্ষেত্রে বিনিয়োগের আদর্শ জায়গা।