সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি : মঙ্গলবার ‘উত্তরকন্যা’-য় আদিবাসী উন্নয়ন পর্ষদের দ্বিতীয় বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে একাধিক প্রকল্পের কথা ঘোষণা করে তিনি উত্তরবঙ্গের পিছিয়ে পড়া আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষকে সামনের সারিতে তুলে আনার প্রয়াস চালান। এই বৈঠকে আদিবাসী সম্প্রদায়ের জনপ্রতিনিধিদের প্রায় সবাইকেই ডাকা হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী বুলু চিক বরাইক-সহ দফতরের সচিব।
আরও পড়ুন-নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক, শিলিগুড়িতে মনিটরিং সেল
এছাড়াও ছিলেন মালদা উত্তরের বিজেপি বিধায়ক খগেন মুর্মু ও আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন সাংসদ দশরথ তিরকে। দীর্ঘ বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, নতুন করে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য পাঁচটি প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন তিনি। প্রথমত, গুরুত্ব দিয়ে তফসিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের জন্য আগামী পাঁচ বছরের নতুন ২০ লক্ষ ঘর তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। যদিও প্রথমে গুরুত্ব দেওয়া হবে মাটির বাড়িগুলোকে পাকা ও সংস্কার করার বিষয়টিতে। এছাড়া জাহেরথান ও মাঝিথানের দরিদ্র মাঝিদের মাসে ১ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-সৌরভ-চেতনের সামনেই আজ বিরাট-পরীক্ষা
অলচিকি ভাষায় পঠনপাঠনের জন্য আগামী পাঁচ বছরে আরও ৫০০টি নতুন স্কুল এবং দেড় হাজার প্যারাটিচার নিয়োগের কথা জানান। পাশাপাশি বলেছেন নেপালি, হিন্দি, উর্দু, কামতাপুরী ও কুড়মালি ভাষায় আগামী পাঁচ বছরে ১০০ নতুন স্কুল তৈরির কথাও। এর সঙ্গে তফসিলি জাতি ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের দুঃস্থ মানুষদের জন্য তিন বছরের মধ্যে ১০০টি নতুন ইংরেজি মাধ্যম স্কুল করারও পরিকল্পনা নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
গত বিধানসভা নির্বাচনের পরেই আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদ গঠন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অগাস্ট মাসে তার প্রথম বৈঠক হয়েছিল নবান্নে। মঙ্গলবারের দ্বিতীয় বৈঠকে আদিবাসী উন্নয়ন পর্ষদের সদস্য তালিকা সংযোজিত করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথম বৈঠকের প্রস্তাবগুলোও পূরণ করলেন তিনি। সব মিলিয়ে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় আরও উদ্যোগী হন বাংলার মানবিক মুখ্যমন্ত্রী।