প্রতিবাদ শুরু শান্তিনিকেতনে, ফলকে বাদ রবি ঠাকুর

বিশ্বভারতীর প্রাণপুরুষ রবি ঠাকুরের নাম বাদ ফলকে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ স্বীকৃতি পায় বিশ্বভারতী।

Must read

সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : বিশ্বভারতীর প্রাণপুরুষ রবি ঠাকুরের নাম বাদ ফলকে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ স্বীকৃতি পায় বিশ্বভারতী। তারপর ঐতিহ্যবাহী ভবনের সামনে ফলক বসায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। আর তাতেই সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠে বিভিন্ন মহল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এই ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়ায় জানান, ফলকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম থাকতে হবে। তা না হলে আন্দোলনে নামবে তৃণমূল কংগ্রেস।

আরও পড়ুন-লক্ষ্মী গড়ে লক্ষ্মীলাভ প্রতিমাশিল্পী লক্ষ্মী পালের

তারপরই মন্ত্রী তথা বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী চন্দ্রনাথ সিংহের নেতৃত্বে শান্তিনিকেতনে কবিগুরু হস্তশিল্প মার্কেটের কাছে মঞ্চ করে ঘটনার প্রতিবাদ করা হয়। অবস্থান বিক্ষোভ চলে সকাল দশটা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত। উপস্থিত সকলেই রবি ঠাকুরের ছবি হাতে নিয়ে প্রতিবাদে শামিল হন। মন্ত্রী চন্দ্রনাথ জানান, শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের জায়গায় বেআইনিভাবে ফলক বসিয়েছে বিশ্বভারতী। চক্রান্ত করে সেই ফলকে রবি ঠাকুরের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। আদালতে বহুবার বিভিন্ন বিষয়ে ভর্ৎসিত হয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এরা কোনও আইন মানে না।

আরও পড়ুন-ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর অভিনব পরিকল্পনা

বিশ্বভারতীর তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ইউনিটের সদস্যরাও প্রতিবাদে শামিল হন। ইউনিটের নেত্রী মীনাক্ষী ভট্টাচার্য বলেন, আশ্রমের প্রাণপুরুষ রবীন্দ্রনাথ। তাঁকে বাদ দিয়ে গেরুয়া ধ্বজাধারী উপাচার্য এবং কেন্দ্র সরকারের নিহিত অ্যাজেন্ডার বিরুদ্ধে কবিগুরু মার্কেটে আমাদের অবস্থান বিক্ষোভ হল। আগামিকালও হবে। পরে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি হবে। এদিনের অবস্থানে শামিল হয় তৃণমূল কংগ্রেস, যুব কংগ্রেস, বিশ্বভারতী তৃণমূল ইউনিট সহ সমস্ত তৃণমূল শাখা সংগঠন। এই ধরনা মঞ্চে চন্দ্রনাথ ছাড়াও ছিলেন সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, গগন সরকার, বোলপুর পুরসভার কাউন্সিলররা।

Latest article