প্রতিবেদন : অবিলম্বে ইসি মিটিং ডাকার দাবিতে আজ আবুটা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় লোকাল চ্যাপ্টারের পক্ষ থেকে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের ঘরে বিক্ষোভ হল। সোমবার। ইসি হল বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ্য নির্বাহী কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় আইনে এ কারণেই ইসির দায়িত্ব ও ক্ষমতা এত গুরুত্বপূর্ণ। অর্থনৈতিক বিষয়-সহ অন্যান্য যা কিছু সিদ্ধান্ত সেখানেই নেওয়া হোক বা যে কেউ নিক না কেন শেষমেশ তা ইসির অনুমোদন নিতে হয়। তাই ইসিকে অচল করে রাখার যে কৌশল দীর্ঘদিন ধরে চলছে তা যেমন বেআইনি, তেমনই অগণতান্ত্রিক। তা সত্ত্বেও প্রাক্তন উপাচার্যের মতো বর্তমান ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যও দীর্ঘদিন ধরে ইসিকে অচল করে রেখেছেন।
আরও পড়ুন-ট্রফি চান রোনাল্ডো
বিগত ৫ মাস কোনও ইসি’র মিটিং ডাকা হয়নি। অথচ ইসিকে এড়িয়ে কৌশলে ওয়ার্কিং কমিটি নামে ইসি’র একটি সাব-কমিটির মিটিং ডেকে নিয়মিতভাবে কোটি কোট টাকার ফিনান্সিয়াল স্যাংশন করিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ২০১৫ সালে গঠিত এই ওয়ার্কিং কমিটি আইনগতভাবে অবৈধ। আইনে বলা আছে এই কমিটিতে যারা সদস্য হবেন তাদের ইসি’র সদস্য হতে হবে। অথচ এই কমিটির এমন কেউ কেউ সদস্য আছেন যারা আদৌ ইসি’র সদস্য নন। এর কার্যাবলী ও অবৈধ। ইসি মিটিং না ডাকার কৌশল হিসেবে এই ওয়ার্কিং কমিটিকে বেআইনিভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। যেখানে ইসি মিটিং বন্ধ রাখা হয়েছে সেখানে তার সাবকমিটির মিটিং কীভাবে ডাকা যায়?
আরও পড়ুন-শেষ মুহূর্তের ভুলে ইস্টবেঙ্গলের ড্র
ওয়ার্কিং কমিটির কাজের পরিধি হল আর্থিক অনুমোদন দেওয়ার। কিন্তু সেই কমিটিতে গোপনে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফিনান্স অফিসারের অক্টোবর মাসে অবসর গ্রহণের পর এক বছরের চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য সরকারের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে! এসব প্রশ্নের উত্তর উপাচার্য দিতে পারেননি। তিনি নীরব থেকেছেন।