প্রতিবেদন : রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপে স্বাভাবিক হল আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। প্রায় একমাস পরে অনশন-বিক্ষোভে ইতি টানলেন পড়ুয়ারা। বুধবার সন্ধ্যায় এক জরুরি বৈঠকে মিলিত হন আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীরা। নিজেদের মধ্যে আলোচনার পরেই আন্দোলন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন তাঁরা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তি সব মহলে। আন্দোলনকারীদের এই সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য দফতরের প্রধান সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ইন্টার্ন এবং জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ এই আন্দোলন শুরু করেছিলেন মাসখানেক আগে।
অধ্যক্ষের পদত্যাগ-সহ একাধিক দাবিতে এই আন্দোলন। স্বাভাবিকভাবেই এই আন্দোলনের ফলে কিছুটা ব্যাহত হচ্ছিল হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা। অসুবিধের মধ্যে পড়ছিলেন রোগী ও তাঁদের প্রিয়জনেরা। রাজ্য সরকার অবশ্য পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে আগাগোড়া সবরকম চেষ্টা চালিয়ে গেছে। আলোচনার দরজাও খোলা রেখেছিল স্বাস্থ্য দফতর। ডাঃ সুদীপ্ত রায়ের নেতৃত্বে তৈরি করা হয় ৫ সদস্যের এক মেন্টর গ্রুপ। তাঁরাও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আন্তরিকভাবে উদ্যোগী হন। বেশ কিছু আন্দোলনকারী রাজ্য সরকারের ডাকে সাড়া দিয়ে আগেই কাজে যোগ দেন। কিন্তু বেশ কয়েকজন দাবিতে অনড় থাকায় অধরা থেকে যায় সমাধানসূত্র। হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায় বিষয়টি। হাইকোর্ট স্পষ্ট নির্দেশ দেয়, চিকিৎসা পরিষেবা কোনওভাবেই ব্যাহত করা চলবে না। এরপর স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে দেখা করেন আন্দোলনকারীদের এক প্রতিনিধিদল। আলোচনায় উঠে আসে সমাধানসূত্র। কিন্তু আন্দোলনকারীরা তাঁদের দাবি মেটানোর ব্যাপারে লিখিত প্রতিশ্রুতি চান। শেষ পর্যন্ত বুধবার সন্ধ্যায় নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে আন্দোলন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন পড়ুয়ারা।