মণীশ কীর্তনিয়া: শ্রীক্ষেত্র পুরীতে পৌঁছনো আরও সহজ হতে চলেছে। এবার আকাশপথে সরাসরি পৌঁছনো যাবে জগন্নাথধামে। পুরীতেই তৈরি হচ্ছে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ইতিমধ্যেই যার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। শেষ হওয়ার কথা ২০২৭ সালের মধ্যে। নাম দেওয়া হয়েছে জগন্নাথ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট। প্রায় ১,১০০ একর জমির উপর গড়ে উঠবে এই অত্যাধুনিক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
আরও পড়ুন-ফের কাঠগড়ায় উত্তর প্রদেশ, ৫ বছরের শিশুকে আছাড় মেরে খুন
সারা দুনিয়া থেকে বিমানে পর্যটক ও পুণ্যার্থীরা সরাসরি পৌঁছতে পারবেন পুরীতে। বিজেডির কাউন্সিলর ও পুরী জেলার সহ-সভাপতি ভক্তচরণ দাস বললেন, বর্তমানে বিমানে ভুবনেশ্বরে নেমে তারপর পুরী পৌঁছতে হয়। এছাড়া ট্রেনের ব্যবস্থা তো আছেই। কিন্তু সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পুরীর স্থানমাহাত্ম্য ও পর্যটনের বাড়বাড়ন্তকে মাথায় রেখে জগন্নাথ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিস্তর টানাপোড়েনের পর ছাড়পত্র পাওয়া গিয়েছে। তাঁর সংযোজন, পুরীর মূল অংশ স্বর্গদ্বার থেকে জগন্নাথ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের দূরত্ব ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই পর্যটকরা বিমানে পৌঁছে সামান্য সময়ের মধ্যে পুরীর মূল অংশে পৌঁছতে পারবেন। এতে একদিকে শ্রীক্ষেত্রে আসার টান যেমন বাড়বে আবার একইসঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার এই উন্নতির জন্য মানুষের সময়ও বাঁচবে। ভক্তচরণ বললেন, ঠিক হয়েছে বর্তমান ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরটি ডোমেস্টিক হয়ে যাবে।
এমনিতে কলকাতা থেকে সরাসরি ট্রেনে পুরীতে পৌঁছনো যায়। কিন্তু বর্তমানে রেলের চূড়ান্ত অব্যবস্থা ও গাফিলতিতে কখনওই সঠিক সময়ে ট্রেন পৌঁছয় না। ফেরার ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে এমনকী বিদেশিরাও সারা বছর ধরে পুরীতে ভিড় জমান। একদিকে সমুদ্র, অন্যদিকে জগন্নাথ-বলভদ্র-সুভদ্রাকে দেখার টান, পুজো দেওয়ার আকুল ইচ্ছে নিয়ে প্রতি বছর কয়েক কোটি মানুষ পুরী যান। এখানকার অর্থনীতি টিকেই আছে পর্যটনের উপরে।
আরও পড়ুন-চাঁদের খুব কাছাকাছি এসে ভেঙে পড়ল রাশিয়ান চন্দ্রযান লুনা-২৫
রথযাত্রা ও বছরের অন্যান্য বিশেষ দিনে পুরীতে হোটেল পাওয়া অসম্ভব হয়ে ওঠে। স্বাভাবিকভাবেই ট্রেনগুলিতে ভিড় উপচে পড়ে। তাই অনেকে বিমানে ভুবনেশ্বর পৌঁছে সেখান থেকে পুরী পৌঁছন। সেক্ষেত্রে একদিকে খরচ বাড়ে, একইসঙ্গে সময়ও লাগে অনেকটাই। ভুবনেশ্বর থেকে পুরী পৌঁছতে প্রায় পৌনে দু’ঘণ্টা সময় লেগে যায়। সবদিক বিবেচনা করেই তৈরি হচ্ছে নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এই পরিকল্পনায় খুশি স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও। কয়েক হাজার বাঙালি পুরীতে হোটেল-সহ নানা ব্যবসায় জড়িত। হাসি ফুটেছে তাঁদের মুখেও।k,kmm