প্রতিবেদন : এবার পুরুলিয়াতে তৃণমূলের ফল ভাল হবে। বিজেপি এখানে জিতে কোনও কাজ করেনি। মানুষের ভোট নিয়েছে অথচ তাদের পেটে লাথি মেরেছে, টাকা আটকেছে। কিন্তু আমরা কথা দিয়ে কথা রেখেছি। ২০১৯ সালের লোকসভা কিংবা ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আশানুরূপ ফল করতে না পারলেও পুরুলিয়ার প্রত্যেকটি বিধানসভা কেন্দ্রে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী করেছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন-কোর্টের তুঘলকি আচরণে বিপাকে কমিশন, ডিউটিতে আনাড়িরা
বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ায় নির্বাচনী কমিটির বৈঠক শেষে বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, জ্যোতির্ময় সিং মাহাত ঢাক-ঢোল পিটিয়ে বলে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার নাকি আয়ুষ্মান ভারত করতে দেয়নি। অথচ তাঁর পরিবারের সদস্যরা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়েছেন। কেন এখানে আয়ুষ্মান ভারত করতে দিইনি? বাংলায় আয়ুষ্মান ভারত হলে রাজ্য সরকারের ৫ হাজার কোটি টাকা বাঁচবে। ১০ কোটি মানুষ আজকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেয়েছে। কিন্তু সেখানে মাত্র ৯০ লক্ষ মানুষ আয়ুষ্মান ভারত পাবে। কারণ, বাড়িতে কারও হাতে মোবাইল থাকলে, বাড়িতে টিভি-ফ্রিজ-রেডিও-বাইক থাকলে তাঁরা আয়ুষ্মান ভারত পাবেন না। আর স্বাস্থ্যসাথী হল সবার জন্য, ইউনিভার্সাল। রাজ্যের এই জনমুখী যুগান্তকারী প্রকল্প মানুষ দেখেছে। প্রতিটি বিধানসভায় ১২ কোটি টাকা খরচ করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেওয়া হয়। পুরুলিয়ায় যে সমস্ত বিধানসভায় আমরা হেরে গিয়েছিলাম, সেই রঘুনাথপুর, পারা, বলরামপুর, জয়পুর, পুরুলিয়ায় একজন মহিলাও বলতে পারবেন না বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন অথচ রাজ্য সরকারের পরিষেবা পাচ্ছেন না। আমরা বৈচিত্রের মধ্যে একতার মূলমন্ত্রে বিশ্বাস করি। তাই এবার ভোটটা নিজের অধিকারকে সামনে রেখে দিন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সমাজ মাধ্যমে এই বৈঠক নিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক লিখেছেন, পুরুলিয়া বহিরাগত শক্তির সামনে বশ্যতা স্বীকার করতে জানে না। মা-মাটি-মানুষের সরকারের উন্নয়নের জোয়ার আজ পুরুলিয়া জেলা তথা সমগ্র বাংলাকে সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করেছে। আজকের পুরুলিয়ায় আমার সতীর্থ, সহযোদ্ধা এবং সকল দলীয় পদাধিকারীর সঙ্গে নির্বাচনী কমিটির বৈঠকে অংশগ্রহণ করলাম। বিগত লোকসভা নির্বাচনে পুরুলিয়াবাসীকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে এই জুমলাবাজ বিজেপি তাদের ভোট লুণ্ঠন করেছিল। কিন্তু এবার আপামর পুরুলিয়াবাসী বাংলা বিরোধীদের বিদায় দিতে প্রস্তুত। আগেরবারের সকল ভুল-ত্রুটি শুধরে আমাদের দলের সকলে আরও বেশি করে মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছে, সারা বছর তাদের পাশে থেকেছে। আমি আশাবাদী আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পুরুলিয়ার মানুষ আমাদের পাশেই থাকবেন।