প্রতিবেদন : রাশিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় ও কট্টর পুতিন-বিরোধী নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনির মৃত্যুতে পরিকল্পিত চক্রান্ত ও খুনের অভিযোগ তুলেছে বিশ্বের বহু দেশ। ইউক্রেন সহ ইউরোপের দেশগুলি দায়ী করেছে ক্রেমলিনকে। এমনকী নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে এই ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘও। আর এবার নাভালনির মৃত্যু ইস্যুতে প্রকাশ্যে চলে এল রাশিয়া-আমেরিকার দ্বন্দ্ব। বিতর্ক উসকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে (Putin- Biden) নাভালনির মৃত্যুর জন্য দায়ী করে সেনেটে বক্তব্য রাখেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন। নাভালনির পরিণতির কথা তুলে ধরে পুতিনের নৃশংসতার কথা উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, পুতিনের এই ভূমিকা আদৌ অপ্রত্যাশিত নয়, নাভালনির সঙ্গে যা হয়েছে তা ভয়ঙ্কর।
আরও পড়ুন: পেশ হল পুরবাজেট, রাজস্ব বাড়ল ১০ শতাংশ
শুক্রবার রাশিয়া প্রশাসনের তরফে ঘোষণা করা হয়, কুখ্যাত আর্কটিক জেলে মৃত্যু হয়েছে ভ্লাদিমির পুতিনের (Putin- Biden ) প্রধান বিরোধী অ্যালেক্সেই নাভালনির। রাশিয়ার তরফে এই ঘটনায় কোনও অস্বাভাবিকতা না থাকার দাবি করা হলেও নাভালনির অনুগামীরা পুতিন প্রশাসনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছেন। জেল হেফাজতে বিরোধী নেতাকে চক্রান্ত করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। একই অভিযোগে সরব ইউরোপের রাষ্ট্রপ্রধানরা।
জো বাইডেন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বলেন, নাভালনির কর্মী-সমর্থক ও অনুগামী যাঁরা পুতিনের দাগিয়ে দেওয়া শত্রুর তকমা নিয়েও নাভালনির স্বপ্নকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন, তাঁদের প্রতি সমবেদনা জানাই। নাভালনির স্বপ্ন ছিল উন্নত রাশিয়া তৈরি করা, যেখানে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে এবং যা সবার জন্য প্রযোজ্য হবে। তাঁর সাহসিকতা কখনওই ভোলার নয়। তাঁর নৈতিকতা ছিল। তাঁর মধ্যে এমন অনেক গুণ ছিল যা পুতিনের মধ্যে নেই। তাঁর মৃত্যুর খবরে আমি একটুও বিস্মিত হইনি। এই দুঃখজনক ঘটনা
বর্তমান পরিস্থিতিকে আবার স্মরণ করাচ্ছে, যেখানে পুতিনের নৃশংসতা বারবার প্রমাণিত।
এর পাশাপাশি নাভালনির মৃত্যুর জন্য পুতিনকে দায়ী করে বাইডেন বলেন, যদি এই মৃত্যুর খবর সত্যি হয় তবে রাশিয়ার প্রশাসন নিজেদের মতো কিছু গল্প বের করবে। কিন্তু সেই ফাঁদে পড়ার ভুল যেন কেউ না করেন। আসলে পুতিনই নাভালনির মৃত্যুর জন্য দায়ী।