পুতিনের নরমেধ যজ্ঞ!

রাষ্ট্রসংঘের হিসেবে, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৪১৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১২১টি শিশুও রয়েছে।

Must read

প্রতিবেদন : পুতিন+হিটলার। পুটলার। এই নামেই এখন চর্চার কেন্দ্রে রুশ প্রেসিডেন্ট। কিয়েভ থেকে মাত্র ৩৫ কিমি দূরের বুচা শহরে রুশ সেনার নরমেধ যজ্ঞের নারকীয়তা দেখে শিউরে উঠছে বিশ্ব। রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে মৃতদেহ, জায়গায় জায়গায় গণকবর৷ হিটলার জাতিশুদ্ধির নামে যেভাবে গণহত্যা চালিয়েছিলেন, সেই ভয়াবহ স্মৃতি উসকে দিচ্ছে ইউক্রেনে পুতিন বাহিনীর তাণ্ডব। ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তাঁর বক্তব্য পেশ করেছেন।

আরও পড়ুন-আয়ুষ্মান ভারত : দুর্নীতি স্বীকার করল কেন্দ্র

সেখানে রাশিয়াকে কড়া শাস্তি দেওয়ার পক্ষেই জোরালো সওয়াল জেলেনস্কির। পাশাপাশি কীভাবে ইউক্রেনের মাটিতে রুশসেনা মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে, অত্যাচার আর হত্যালীলা চালাচ্ছে, তার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিও করেন তিনি। এর আগেই জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, বুচার থেকেও মারাত্মক দৃশ্য অপেক্ষা করছে বরোদিয়াঙ্কায়। এই শহরটিও প্রায় মাসখানেক রুশ দখলে রয়েছে।

আরও পড়ুন-ছয় মাসের মধ্যেও ভোট করা কঠিন, মত নির্বাচন কমিশনের, পাকিস্তান সংকট

রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার দফতরের তরফে অবশ্য ইতিমধ্যেই রাশিয়ার গণহত্যার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নিরপেক্ষ ও স্বাধীন তদন্তের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রধান মিশেল ব্যাচেলেট বলেছেন, রাস্তায় পড়ে থাকা অগুনতি সাধারণ মানুষের মরদেহ এবং গণকবরের ছবি দেখে আমি খুবই মর্মাহত। সত্য ও ন্যায়বিচারের পক্ষে লড়াইয়ের পাশাপাশি দোষীর জবাবদিহিও নিশ্চিত করতে হবে। বুচার ঘটনায় স্বাধীন এবং কার্যকর তদন্তে সব ধরনের সহযোগিতা জরুরি।

রাষ্ট্রসংঘের হিসেবে, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৪১৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১২১টি শিশুও রয়েছে। আহতের সংখ্যা ২ হাজার ৩৮। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি। কারণ, বিধ্বস্ত মারিউপোল এবং ইরপিনের কোনও তথ্য এই হিসেবে নেই।

Latest article