সংবাদদাতা, বারাসত : যাঁর প্রতি পদক্ষেপে রয়েছে বিতর্ক, শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন, তিনি কখনও দেশের ও শিক্ষার্থীদের ভাল করতে পারেন না। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বারাসত সাংগঠনিক জেলার আইএনটিটিইউসি’র ডাকা এক প্রতিবাদসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনই কড়া সুরে দেশের প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করেন তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি তথা বারাসতের উপপুরপ্রধান তাপস দাশগুপ্ত।
আরও পড়ুন-প্রতিবাদে শামিল হলেন শিক্ষকরা
এদিন বারাসত চাঁপাডালি মোড়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলা আইএনটিটিইউসি’র সভাপতি আরও বলেন, মানুষ দুই-চারদিন না খেয়ে থাকলেও তেমন কিছু হয় না। কিন্তু মানুষের কাছ থেকে শিক্ষাকে নিয়ে নিলে মানুষ ধংস হয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর জন্মসাল নিয়ে একাধিকবার নিজেই বিতর্ক তৈরি করেছেন। এক-এক জায়গায় এক-একরকম জন্মসাল ব্যবহার করেছেন। আবার তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্রটি কম্পিউটারাইজ। অথচ যখন তিনি সেটি পেয়েছিলেন তখন কম্পিউটারের ব্যবহারই ছিল না। তাই তিনি তাঁর জন্ম ও শিক্ষা নিয়ে মিথ্যাচার করছেন। এমন একজন মিথ্যাচারী কখনও দেশের ও শিক্ষার্থীদের ভাল করতে পারেন না।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর শিল্পী ভাতাই ভরসা বহুরূপীর
মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার সেই কাজই করতে চাইছে। বিভিন্ন জাতির আরাধ্য দেবতাদের নিয়ে ধর্মীয় রাজনীতি করছে। ধর্মের নামে রাজনৈতিক ব্যবসা শুরু করেছে। দেশের সম্পদ বিক্রি করে দিচ্ছে। আর কেউ বা কোনও রাজনৈতিক দল তার প্রতিবাদ করলেই তাদের সিবিআই, ইডি দিয়ে হেনস্তা করছে। গরুপাচার নিয়ে বিজেপি বড় বড় কথা বলছে, বীরভূমে সিপিএমের আমল থেকে গরু পাচার হত। সীমান্ত পেরিয়ে সেই গরু বাংলাদেশে যেত। সীমান্তে বিএসএফ মোতায়েন আছে। তারা কী করছে? তাদের মন্ত্রী তো অমিত শাহ। তাহলে গরুপাচার নিয়ে সিবিআই, ইডি’র আধিকারিকরা কেন অমিত শাহকে জেরা করছে না? এদিন এই প্রশ্নও তোলেন তাপস বাবু।
আরও পড়ুন-হাওড়ার পার্ক রাজ্যের মডেল
পাশাপাশি তিনি বলেন, এখন বিজেপির দোসর হয়েছে সিপিএম ও বাংলার কংগ্রেস। দেশের কংগ্রেস এমনটি নয়। ফলে দেশের গণতন্ত্র আজ বিপন্ন। এদিনের সভায় তাপস দাশগুপ্ত ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বারাসত শহর যুব তৃণমূলের সভাপতি দেবাশিস মিত্র, পুরপিতা সমীর কুণ্ডু, শ্রমিক নেতা কালী রুদ্র সহ আরও অনেকে। দেবাশিস মিত্র তাঁর বক্তব্যে বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও যেভাবে মানুষের পাশে আছেন তা এর আগে কোনও মুখ্যমন্ত্রীই ছিলেন না। তিনি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করেন না। উপরন্তু সকল ধর্মের মানুষের জন্য, ধর্মীয় আচার পালনের জন্য আর্থিক সাহায্য করেন। বাম এবং কংগ্রেস বিজেপিকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাকে অশান্ত করতে চাইছে। এটা কোনও ভাবেই আমরা মেনে নেব না।