প্রতিবেদন : আকাশ ঢেকেছিল মেঘে। ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। সব উপেক্ষা করেই বঙ্গবাসী পালন করলেন প্রাণের ঠাকুরের জন্মদিন। মেঘলা আকাশে মুক্তির আলোয় ‘হে নূতন’-এ মুখরিত হল জোড়াসাঁকো থেকে বিশ্বভারতী। পাহাড় থেকে সমতল। সোমবার ২৫শে বৈশাখ রবীন্দ্রসদনে ‘দাঁড়িয়ে আছো তুমি আমার গানের ওপারে’ সুরে গলা মেলালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান জোড়াসাঁকোয় কবিগুরুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ছিলেন উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরি।
আরও পড়ুন-বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুকে বিমানে উঠতে হেনস্থা ইন্ডিগোর
সাদা শাড়ি লাল পাড়, কপালে টিপ, খোপায় জুঁইয়ের মালায় সেজে বৃষ্টিস্নাত বেলায় গানের ভেলা ভাসিয়ে দিলেন রবীন্দ্রভারতীর ছাত্রীরা। ভোরের আলো ফুটতেই গুরুদেবের ১৬১তম জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আশ্রম কন্যারা সাদা শাড়ি এবং ছেলেরা সাদা ধুতি পাঞ্জাবি পরে গৌড়প্রাঙ্গণ থেকে প্রভাতি অনুষ্ঠানের সূচনা হয় বিশ্বভারতীতে। উপাসনাগৃহে চলে প্রার্থনা। অধ্যাপক, অধ্যাপিকা, পড়ুয়ারা মুক্ত কণ্ঠে গাইলেন, ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’। পাহাড় ঘেরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ি মংপুতেও পালন হল কবিগুরুর জন্মদিন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তিতে মাল্যদান করেন জেলাশাসক এস পুন্নবালম। কলকাতার প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের আবাসিকরাও করলেন কবিপ্রণাম।
আরও পড়ুন-নিজের গানের মাধ্যমে কবি-প্রণাম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
সকাল থেকেই তাঁদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। তাঁদের তৈরি কাঠের রবি মূর্তিতে মাল্যদান করে তাঁরা গেয়ে উঠলেন ‘অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো’। শহর থেকে শহরতলি, পাড়ার কোণে কোণে সকলেই নিজেদের মতো করে পালন করেন রবি ঠাকুরের জন্মদিন। কচিকাঁচাদের গলায় আবৃত্তি, কোথাও অনুশীলন ছাড়াই আটপৌরেভাবেও পালন করা হয় প্রাণের ঠাকুরের জন্মদিন। রবীন্দ্রনাথকে স্মরণ করে বিভিন্ন এলাকায় প্রভাতফেরিও বের হয়।