নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে
আশ্বিনের দুপুরবেলা। তবু সূর্যের আলো তেমন করে স্পর্শ করেনি মেধাসশ্রমের মাটিকে। শাল, শিরীষ, অর্জুন আর নাম না-জানা গাছে ঘিরে আছে এই আশ্রম। মোরাম বিছানো পথের শেষে রাজা সুরথের সেই মন্দির। মন্দিরের সামনেই প্রকৃতির মাঝে যজ্ঞের আয়োজন। কোনও পুরোহিত নেই। শ্বেতবসনে পদ্মাসনে বসে আছেন মোহন। রবীন্দ্রসংগীত সাধক মোহন সিং খাঙ্গুরা। গাইছেন— নিভৃত প্রাণের দেবতা যেখানে জাগেন একা, ভক্ত, সেথায় খোলো দ্বার। আজ লব তাঁর দেখা। সারাদিন শুধু বাহিরে ঘুরে ঘুরে কারে চাহি রে।
এ-গান শেষ না হতেই আবার ডুবলেন রবীন্দ্রনাথের (Rabindranath tagore) কথায়-অনুভবে-সুরে। নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে, রয়েছ নয়নে নয়নে। হৃদয় তোমারে পায় না জানিতে, হৃদয়ে রয়েছ গোপনে। লাল মোরামের রাস্তা শেষে আমিও তখন গোপন শ্রোতা। গানের অভিসার শেষে বসলাম তাঁর সামনেই। জানতে চাইলাম পুত্রহারা এক পিতার কাছে। কেন এই গড়জঙ্গলে একা বসে গাইছেন? উত্তর এল— ‘‘আমার হৃদয়ের এক অলিন্দে গুরুদেব। অন্য অলিন্দে বিক্রম। দু’জনেই আজ পরপারে। মৃত্যু এসে নিয়ে গেছেন ওঁদের। আমি একা নই। ওঁরা আমার গান শুনছেন। ওঁদের মৃত্যু আমার কাছে যন্ত্রণার সুর হয়ে উঠেছে।’’
রবীন্দ্রনাথের ভাবনায় মৃত্যুর শেষ ধাপ জাগরণ। তাই অদ্ভুত প্রাকৃতিক পোয়েটিক জাস্টিসের কথায় তিনিই লিখতে পারেন, ‘শ্রাবণ রাতে অঝোর-ধারে উদাস করে কাঁদাও যারে/ আবার তারে ফিরিয়ে আনো ফুল ফোটানো ফাগুন রাতে’ (‘গীতবিতান’/ পূজা পর্যায়)!
শহরে বা গ্রামে হোক, অকালমৃত্যু বা পরিণত মৃত্যুতেও আমরা ছুটে গেছি রবীন্দ্রনাথের কাছে। আশ্রয়ের জন্যে। চোখের জলের বাঁধ ভাঙে তাঁরই প্রশ্রয়ে। তাই তো গুণিজনের শবদেহ গান বাহন করে— আছে জন্ম, আছে মৃত্যু।
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে
উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্তবর্তী গ্রাম কুমুরিয়া। অলোক শুধু নয়, ওই গ্রামের প্রায় সবাই চাষি। সকাল হতে না হতেই অলোক মাঠে যায়। মাটি কোপায়। জল দেয়। সার দেয় ফসলে। সন্ধ্যাবেলা হ্যারিকেন জ্বেলে নহাটা বাজারে বসে কৃষি সমিতি। আলোচনা শুরু হয় কী করে ফসলের উৎপাদন বাড়বে? পোকা মারা যাবে? চাষি ভাইরা সবাই একমত হয়। কাল সকাল থেকেই ফসলে ক্ষতিকারক রং মেশানো হবে। কীটনাশক ও সার ব্যবহার করা হবে। অলোক কিছুতেই রাজি নয়। ও ফসলে এসব মেশাবেই না। শুধু জৈব সার প্রয়োগ করবে মাঠে। পরদিন সকালে সাইকেল আলের পাশে রেখে সে একাই জৈব রাসায়নিক সার ছড়াতে থাকে। রেডিওতে বাজতে থাকে— যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে। শুধু অলোক নয়, নিউটাউনের সুশীল ব্যালকনিতে বসে মোবাইল ফোনের রেডিওতে শুনছে এই গান। জানে তাকেও আজ একলা চলতে হবে প্লাস্টিক বন্ধ করার লড়াইয়ে।
অনন্ত আকাশের ফাঁক না পেলে বাঁশি বাজে না
কুণালকে কোনওদিনও জানতে দেয়নি রিমি। পাগলের মতো ওকে ভালবাসে। এ ভালবাসায় শরীর কখনও অবাধ্য হয়ে ওঠেনি। শুধু শাসন করেছে অনুভূতিকে। রবীন্দ্রনাথের মতো তার কাছেও নারীর প্রত্যক্ষ শারীরিক উপস্থিতির প্রয়োজন হয়নি। বরং নারীর শারীরিক উপস্থিতি প্রেমের অন্তরায় হয়ে ওঠে। রবীন্দ্রনাথ (Rabindranath tagore) মনে করতেন, কাঙ্ক্ষিত নারী যখন কল্পনা থেকে বাস্তবের মধ্যে চলে আসে, কল্পনার অসীম থেকে সংসারের সীমার মধ্যে চলে আসে, তখন প্রেম আর থাকে না। কারণ ‘অনন্ত আকাশের ফাঁক না পেলে বাঁশি বাজে না’। এ কারণে একসময় যে নারী ছিল সংসার-সীমার বাইরে কল্পনার মায়াঞ্জন মাখা, সে যখন সংসারের মধ্যে এসেছে তখন ওই নারী আবিষ্কার করেছে যে তাদের মধ্যে আগের সেই প্রেমের তীব্রতা নেই। নারী নিজেই তাদের প্রেম ফুরিয়ে যাওয়ার ব্যাখ্যা করেছে এভাবে, ‘এখন হয়েছে বহু কাজ,/ সতত রয়েছ অন্যমনে।/ সর্বত্র ছিলাম আমি/ এখন এসেছি নামি/ হৃদয়ের প্রান্তদেশে, ক্ষুদ্র গৃহকোণে।’ (‘নারীর উক্তি’, মানসী)। প্রেমিক পুরুষকে দিয়েও রবীন্দ্রনাথ তাঁর একই কাব্যের ‘পুরুষের উক্তি’ কবিতায় একই কথা বলিয়েছেন, ‘কেন মূর্তি হয়ে এলে/ রহিলে না ধ্যান ধারণার?’
কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া
অন্তরালের ভালবাসায় উত্তরবঙ্গের ইন্দিরা হার মানিয়েছে সমাজকে। পোশাকি প্রেমের থেকে বহুদূরে সে। তার প্রেমে জানানোর দায় নেই। প্রকাশের বাধ্যবাধকতা নেই। কলেজ জীবন পেরিয়ে এখন সে সংসারের ঘেরাটোপে। তবু ইন্দিরা তার প্রাণের মানুষকে হারায়নি। একা একা তার সঙ্গে গল্প করে। অভিমানে কেঁদে ওঠে। সঙ্কটে ছুটে যায় তার জীবনদেবতা রবীন্দ্রনাথের (Rabindranath tagore) কাছে। তার পুজোর অর্ঘ্য নিয়ে ইন্দিরা গেয়ে ওঠে— ভেবেছিনু মনে মনে দূরে দূরে থাকি। চিরজন্ম সঙ্গোপনে পূজিব একাকী। কেহ জানিবে না মোর গভীর প্রণয়, কেহ দেখিবে না মোর অশ্রুবারিচয়।
ইন্দিরা আজও বসে আছে তার পথ চেয়ে। ‘কাছে ছিলে দূরে গেলে, দূর হতে এসো কাছে। ভুবন ভ্রমিলে তুমি, সে এখনও বসে আছে।’ প্রাণের মানুষ কাছে এসেছে তবু ইন্দিরার মনে সংশয়— ‘দেখো সখা ভুল করে ভালবেসো না। আমি ভালবাসি বলে কাছে এসো না।’
ইন্দিরার স্নিগ্ধ প্রেমের বারি। কিন্তু মিলনের মাঝে যেন কার ছায়া— দু’টি হৃদয় দু’জনকে চায় অথচ চিরবিরহের সাধনায় বাঁশিতে বেজে ওঠে করুণ সুর। প্রেমের চিরকালীন দ্বন্দ্ব? যাকে চাই তাকে পাই না— অদ্ভুত ভাবে ফুটে ওঠে ‘মায়ার খেলা’য়। অমর আর শান্তার মিলনের মাঝে এসে দাঁড়ায় প্রমদা। শান্তা, যে চিরকাল তার প্রেম গোপন রাখতেই চেয়েছে, চলে যেতে চায় দূরে। ‘বিধাতার নিষ্ঠুর বিদ্রূপে নিয়ে এল চুপে চুপে/মোরে তোমাদের দুজনের মাঝে।/আমি নাই, আমি নাই।’
আরও পড়ুন- সাগরদিঘিতে কংগ্রেসের জয় নিয়ে বিজেপি-হাত শিবিরকে খোঁচা অভিষেকের
টগবগিয়ে তোমার পাশে পাশে
প্রতিদিনের ছকবাঁধা রুটিনে ছুটি নেই সৌমিল-এর। সকাল থেকেই পড়া আর পড়া। খেলার মাঠের ডাক শোনে না। হাঁপিয়ে ওঠে সিলেবাসে। হাঁপিয়ে ওঠে বইয়ের ভারে। ইচ্ছে হয় মাকে বলে— ‘মা গো আমায় ছুটি দিতে বল, সকাল থেকে পড়েছি যে মেলা। এখন আমি তোমার ঘরে বসে করব শুধু পড়া পড়া খেলা।’
কিন্তু সময় পেলেই সৌমিলের শিশুমন হয়ে ওঠে বীর। ক্লাসের বন্ধুদের কাছে বলে বীরত্বের কথা— ‘মনে কর যেন বিদেশ ঘুরে, মাকে নিয়ে যাচ্ছি অনেক দূরে। তুমি যাচ্ছ পালকিতে মা চড়ে, দরজাটুকু একটুকু ফাঁক করে, আমি যাচ্ছি রাঙা ঘোড়ার পরে, টগবগিয়ে তোমার পাশে পাশে।’
বাবার আপিস-এর ছুটিতে সৌমিল বন্ধুদের নিয়ে যায় শান্তিনিকেতনে। যখন পরিচিত কোনও গ্রামের মেঠো পথ দিয়ে হেঁটে যায় তখন তালগাছের দিকে তাকালেই মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে— ‘তালগাছ একপায়ে দাঁড়িয়ে/ সব গাছ ছাড়িয়ে।’ সেদিন বিকেলে যখন অঝোর ধারায় বৃষ্টি নামে সৌমিল স্কুলের বন্ধুদের ভিডিও কল করে সোনাঝুরির বৃষ্টি দেখায় আর বলে— ‘বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর/ নদে এলো বান।’ ওদিকে শেডের নিচে দাঁড়িয়ে ওর মা সন্দীপা আপন মনে বৃষ্টি দেখছে রবীন্দ্রনাথকে সঙ্গে নিয়ে— ‘নীল নবঘনে আষাঢ় গগনে/ তিল ঠাঁই আর নাহিরে/ ওগো, আজ তোরা যাসনে ঘরের বাহিরে।’
সন্ধ্যা নামছে সোনাঝুরিতে। বৃষ্টি থেমেছে। সাইকেল ভ্যানে চেপে হোটেলে ফিরছে ওরা। চাঁদ মামাকে সঙ্গে নিয়ে— ‘চাঁদের আলো নিভে এলো/ সুয্যি ডোবে ডোবে/ আকাশ জুড়ে মেঘ জমেছে/ চাঁদের লোভে লোভে।’ পরদিন সকালে সন্দীপা আর সৌমিল নিজেরা কোপাই দেখে একসঙ্গে বলতে থাকে— ‘আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে/ বৈশাখ মাসে তার হাঁটুজল থাকে/ পার হয়ে যায় গরু/ পার হয় গাড়ি/ দুই ধার উঁচু তার/ ঢালু তার পাড়ি।’ কবিতা থামিয়ে সৌমিল বলে— জানো মা মেঘার্য্যর গ্রামের বাড়ির পাশে এমন একটা ছোট্ট নদী আছে। ও গরমের ছুটিতে গ্রামের বাড়ি গিয়ে নৌকা চড়ে। পদ্মের বিলে যায় মাছ ধরতে। আমাদেরও একটা ছোট নদী কেনো না মা!
দেবতারে প্রিয় করি, প্রিয়েরে দেবতা
ঝিলিকের ঠাম্মা গায়ত্রীদেবী, দাদু চলে যাওয়ার পর সারাদিন পুজোআর্চা নিয়েই থাকেন। সকাল-সন্ধ্যা আরতি, দিনে তিনবার স্নান শুধু আরাধ্য দেবতার সঙ্গে প্রাণের কথা বলার জন্য। ঝিলিক আর মৌ ঝগড়া করে, কী এত পুজো! ওরা ঠাম্মাকে বলে দেখনি দাদাভাই ঠাকুর দেবতার থেকে আমাদের বেশি ভালবাসত। আর আমাদের বলত, জানিস দিদিভাই আসল ঠাকুর তো তোরাই! রবীন্দ্রনাথ পড়ে শোনাত—
‘দেবতারে যাহা দিতে পারি, দিই তাই প্রিয়জনে— প্রিয়জনে যাহা দিতে পাই তাই দিই দেবতারে; আর পাব কোথা! দেবতারে প্রিয় করি, প্রিয়েরে দেবতা!’ ঠাম্মা আর নাতির ঝগড়ার মাঝে প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়ে পড়লেন রবীন্দ্রনাথ। রবীন্দ্রনাথকে (Rabindranath tagore) দলে টেনে ঠাম্মা বলেন সোনার তরীর কথা, বলেন জীবন দেবতার কথা— ‘ওহে অন্তরতম, মিটেছে কি তব সকল তিয়াস আসি অন্তরে মম!’
দুঃখ সুখের লক্ষ ধারায়
পাত্র ভরিয়া দিয়েছি তোমায়,
নিঠুর পীড়নে নিঙাড়ি বক্ষ
দলিত দ্রাক্ষাসম!
সঙ্কটের কল্পনাতে হোয়ো না ম্রিয়মাণ
রবীন্দ্রনাথকে (Rabindranath tagore) নিয়ে ঝগড়া হয়নি এমন পরিবার খুব কম আছে। স্বামী-স্ত্রীর বিরোধের কারণ হয়ে উঠেছেন রবীন্দ্রনাথ (Rabindranath tagore)। ফ্যামিলি স্পেস শেয়ার করতে হয়েছে ডাইনিং টেবিলে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে। বাংলাদেশের কত নারীর আইডল রবীন্দ্রনাথ তার পরিসংখ্যান দেওয়া কঠিন। প্রেমে থাকেন রবীন্দ্রনাথ, ভালবাসায় থাকেন রবীন্দ্রনাথ, আর নিভৃতে থাকেন সঙ্কট মোকাবিলায়। ঘরে-বাইরে নিত্য দিনে অভিভাবক হয়ে উঠেছেন রবীন্দ্রনাথ। আপসের মাঝে রবীন্দ্রনাথ অটল থাকেন প্রিয় সঙ্গী হয়ে। সঙ্কটকে দূরে ফেলে দিয়ে বলেন— সঙ্কোচের বিহ্বলতা নিজেরে অপমান। সঙ্কটের কল্পনাতে হোয়ো না ম্রিয়মাণ। মুক্ত করো ভয়, আপনা-মাঝে শক্তি ধরো, নিজেরে করো জয়। দুর্বলেরে রক্ষা করো, দুর্জনেরে হানো, নিজেরে দীন নিঃসহায় যেন কভু না জানো।
তোমার পতাকা যারে দাও, তারে বহিবারে দাও শকতি
সংসার জীবনে, সমাজ জীবনে প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে লড়াই করতে হয়, আপস করতে হয় মাথা উঁচু রাখার জন্য। চারিদিক যখন শূন্য, একা প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়ে থাকেন রবীন্দ্রনাথ মনের মাঝে। হাতের আপন পতাকায় লিখে রাখেন— চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির, জ্ঞান যেথা মুক্ত, যেথা গৃহের প্রাচীর, আপন প্রাঙ্গণতলে দিবসশর্বরী, বসুধারে রাখে নাই খণ্ড ক্ষুদ্র করি। প্রলয়, অগ্নীশ, সুদীপ্তদের মনোবল বাড়িয়ে দেন রবীন্দ্রনাথ। তাই তো তারা আগুনকে ভয় পায় না, আগুনকে ব্যবহার করতে পারে। তারা বিশ্বাস করে— তোমার পতাকা যারে দাও, তারে বহিবারে দাও শকতি।
তোমার সৃষ্টির পথ রেখেছি
জীবনের শেষ ইনিংসের ভালবাসা আর মৃত্যুকে মিশিয়ে দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ। রাজারহাটের ক্যানসার হসপিটাল থেকে মৃত্যুকে সঙ্গে নিয়ে এসে সন্ধ্যা ঘরে বসে অনাবিলভাবে ছোটমেয়েকে বলে— ‘‘টিকু থার্মোমিটারটা নিয়ে আয়!’’ তারপর অনন্তের দু’মিনিটের অপেক্ষা, টিকুর চোখের কোণে জল। থার্মোমিটারের পারদ উপরে উঠছে। আর তিনি বলছেন— ভালোবাসার থার্মোমিটারে তিন মাত্রার উত্তাপ আছে। মানুষ যখন বলে ‘ভালোবাসি নে’ সেটা হল ৯৫ ডিগ্রি, যাকে বলে সাবনর্মাল। যখন বলে ‘ভালোবাসি’ সেটা হল নাইন্টিএইট পয়েন্ট ফোর, ডাক্তাররা তাকে বলে নর্মাল, তাতে একেবারে কোনো বিপদ নেই। কিন্তু প্রেমজ্বর যখন ১০৫ ছাড়িয়ে গেছে তখন রুগি আদর করে বলতে শুরু করেছে ‘পোড়ারমুখি’, তখন চন্দ্রবদনীটা একেবারে সাফ ছেড়ে দিয়েছে। যারা প্রবীণ ডাক্তার তারা বলে এইটেই হল মরণের লক্ষণ।
ভালবাসা, কৌতুক আর জীবনকে কি অনায়াসে মিলিয়ে দিলেন মহাবিশ্বে। এ-অভ্যেস রবীন্দ্রনাথের থেকে শেখা।