সঞ্জিত গোস্বামী, রঘুনাথপুর : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উদ্যোগে বদলে যেতে চলেছে রঘুনাথপুর। আসছে ৭২ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ। মুখ্যমন্ত্রীর এমন ঘোষণায় নতুন করে উৎসাহিত রঘুনাথপুর শিল্পাঞ্চলের মানুষ। ইতিমধ্যে শিল্পাঞ্চলের পূর্ণাঙ্গ মানচিত্র তৈরি। আগামী বছরেই বেশ কয়েকটি মাঝারি শিল্প আসছে। তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পরিবেশ শিল্পের অনুকূল।
আরও পড়ুন-Haldia Dock: হলদিয়া ডকের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের বিপুল ভোটে জয়, সাফ বিজেপি
শনিবার এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউড়ি জানালেন, ‘‘২০০৬ সালে তৎকালীন রাজ্য সরকার শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করলেও কোনও শিল্প গড়ে ওঠেনি। মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ডিভিসির একটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও জয় বালাজি গোষ্ঠীর তিনটি কারখানার শিলান্যাস করেন। জয় বালাজি জমি ফেরত দিয়ে পালায়। ডিভিসির কারখানাটি তৃণমূল কংগ্রেস জমানায় গড়ে ওঠে। ওই এলাকায় এখন প্রায় ন’ হাজার একর অধিগৃহীত জমি সরকারের হাতে রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জেলা প্রশাসন অধিগৃহীত জমি ও সংলগ্ন এলাকায় কোথায় বসতি হবে, কোথায় হাসপাতাল বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হবে এবং কোথায় হবে কারখানা, তার মানচিত্র প্রস্তুত করেছে। ডানকুনি থেকে বড়জোড়া, রঘুনাথপুর অবধি ফ্রেট করিডরও গড়ছে সরকার। ডিভিসির কারখানা বা রেললাইন তৈরির সময় তৃণমূল কংগ্রেস কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করেছে। বহু শিল্পগোষ্ঠী তাই এখানে আসতে চান। আমরা সবরকম সহযোগিতা করছি।”
এলাকার জমিহারা আন্দোলনের নেতা গুনারাম গোপ বলেন, শিল্প গড়ার জন্য আমরা জমি দিয়েছিলাম। বামেরা যাদের জন্য জমি নিয়েছিল, পালিয়ে গিয়েছে। ফলে মানুষ জমিও হারিয়েছেন, কাজও পাননি। মুখ্যমন্ত্রীর উপর আস্থা আছে। শিল্প হোক, আমরা পূর্ণ সহযোগিতা করব।
পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ওই শিল্পতালুকে শুধু ভারী শিল্প নয়, একাধিক মাঝারি শিল্পও গড়ে উঠবে। কর্মসংস্থান হবে কয়েক হাজার মানুষের।