সরস্বতী দে, শিলিগুড়ি : কেন্দ্রীয় সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত একাধিক সংস্থাকে বিক্রি করে দিচ্ছে। বিভিন্ন সরকারি সংস্থাকর্মী নিয়োগের বদলে হচ্ছে কর্মসংকোচন। সরকারি সংস্থাগুলির বিভিন্ন দফতরকে তুলে দেওয়া হচ্ছে বেসরকারি হাতে। ভারতীয় রেল যার ব্যতিক্রম নয়। রেলের বিভিন্ন বিভাগকে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এমনকী কয়েকটি ট্রেনও দেওয়া হয়েছে বেসরকারি হাতে।
রেল দফতর সূত্রের খবর, আট লক্ষের বেশি পদ খালি। কর্মী নিয়োগ দূরে থাক, বরং কর্মসংকোচন করা হচ্ছে। এই অবস্থায় অজানা আতঙ্কে ভুগছেন রেল কর্মচারীরা। এরই প্রতিবাদে মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে এনএফ রেলওয়ে এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন শিলিগুড়ি জংশনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। তাঁরা বলেন, মোদি সরকার কর্ণপাত করছে না। তাই বৃহত্তর আন্দোলনে কর্মীরা বাধ্য হবে। প্রয়োজনে ধর্মঘটেরও ডাক দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন :সুস্মিতা দেবকে রাজ্যসভায় মনোনয়ন দিল তৃণমূল কংগ্রেস
শিলিগুড়ি জংশনে ডিজেল শেডের কর্মীরা মূলত শেডের ইলেকট্রিক মাল্টিপল ইউনিট বা ইএমইউ করার বিরুদ্ধে সরব হন। তাঁদের বক্তব্য, বিদ্যুৎকে মোটিভ পাওয়ার হিসেবে ব্যবহার করে একাধিক ইউনিট ট্রেন যা স্ব-চালিত গাড়ি নিয়ে গঠিত হবে ইএমইউ। একটি ইএমইউতে আলাদা লোকোমোটিভের প্রয়োজন হয় না। এই অবস্থায় কর্মচারীদের ছাঁটাইয়ের প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। ইউনিয়নের বক্তব্য, ডিজেল শেডের একজন কর্মী ছাঁটাই বরদাস্ত করা হবে না। ইউনিয়নের অভিযোগ, ইএমইউ ব্যবস্থা চালু করে কর্মী সংকোচনের চক্রান্ত বিজেপি সরকার। এর আগেও রেলকে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে, কিন্তু বিগত কোনও সরকার এরকমভাবে বেসরকারীকরণের পথে হাঁটেনি।
আরও পড়ুন :বসিরহাটের টর্নেডোয় তছনছ একাধিক গ্রাম
বিজেপি সরকার একের পর এক সরকারি সংস্থার বেসরকারীকরণের খেলায় মেতেছে। বিএসএনএল, ব্যাঙ্ক থেকে শুরু করে এখন মেডিক্যাল ও পাওয়ার ডিপার্টমেন্টের ও বেসরকারীকরণ করা হচ্ছে। আন্দোলনকারীদের পক্ষে এর বিরুদ্ধে শিলিগুড়ি জংশনে সমস্ত কর্মচারীদের এককাট্টা হয়ে লড়াইয়ের আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রয়োজনে বৃহৎ আন্দোলনের পথে নামতেও পিছপা হবে না বলে সাফ জানানো হয়েছে ইউনিয়নের পক্ষ থেকে।