সংবাদদাতা, নন্দীগ্রাম : তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন, নন্দীগ্রাম থেকে দেশপ্রাণ (বাজকুল) পর্যন্ত রেললাইনের ঘোষণা করেছিলেন। তবে বছরের পর বছর রেল বাজেটে মেলেনি বরাদ্দ। তাই কাজ শুরুও হয়নি। নতুন বাংলা বছরের শুরুতে হঠাৎ করে এই প্রকল্পের কাজ শুরুর সবুজ সংকেত দিয়েছে রেলবোর্ড। আসলে নন্দীগ্রামে বিজেপির একের পর এক বিদ্রোহের ঢেউ ও ভাঙন রুখতে, পদ্ম শিবিরের এমন চমক বলে মনে করছে নন্দীগ্রামের একাংশ।
আরও পড়ুন-অতিরিক্ত লোডেই লোডশেডিং
পঞ্চায়েত ভোট দুয়ারে প্রহর গুনছে। লোকসভা ভোট আসন্ন। তার উপর রাজ্যের ১০০ দিনের টাকা এবং আবাস যোজনার টাকা কেন্দ্র সরকারকে না দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাই রাজ্যজুড়ে তিনি সমালোচিত হচ্ছেন। কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক দল রাজ্যে এসে চারদিকে বিক্ষোভের মুখে পড়ছে। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে সামাল দিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা নন্দীগ্রামের এই রেলকে প্রচারের ঢাল করছেন বলে, অভিজ্ঞ রাজনৈতিক মহলের অভিমত। কেউ কেউ মনে করছেন, রাজ্যের ডুবন্ত বিজেপিকে বাঁচাতে এসব কার্যত ‘আইওয়াশ’।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রকে বাতিল করতে হবে শ্রম আইন
ভোট শেষ হয়ে গেলে, শেষ পর্যন্ত নন্দীগ্রামে এই প্রকল্পের কাজ হবে কিনা সে নিয়েই সন্দিহান নন্দীগ্রামের একাংশ। কারণ ঘর পোড়া গরু সিন্দুরে মেঘ দেখলে ডরায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন নন্দীগ্রামের এই রেলপথ তো বটেই, জেলিংহাম সহ নন্দীগ্রামের আরও বেশ কয়েকটি প্রকল্প ঘোষণা করেছিলেন। তারপর দীর্ঘদিন বিজেপি ক্ষমতাতে এলেও সেই সমস্ত প্রকল্প এক চুল এগায়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন পাহাড় থেকে সমুদ্র পাহাড়িয়া এক্সপ্রেসের মাধ্যমে সংযুক্ত করেছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে আজকে কলকাতা থেকে এত অল্প সময়ে সরাসরি রেলপথে পর্যটকরা দিঘায় পৌঁছে যেতে পারতেন না।