বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, আলিপুরদুয়ার : দুর্ঘটনার দু’দিন পরেও বদলাল না চিত্রটা। শনিবার রাত পর্যন্ত স্বাভাবিক হল না রেললাইন। ফলে ঘুরপথে যাত্রায় নাকাল হতে হচ্ছে যাত্রীদের। আপ লাইনের কোনও পরিষেবা চালু হয়নি। শুধুমাত্র ডাউন লাইন দিয়েই চলছে ট্রেন। তার ফলে সমস্যা হচ্ছে। এই বিষয়ে এনএফ রেলওয়ের জনসংযোগ আধিকারিক নীলাঞ্জন দেব বলেন, ‘দুর্ঘটনায় আপ এবং ডাউন দুটি লাইনেই ক্ষতি হয়েছে। ওই দুই সেকশনের মাঝে প্রায় ৬০০ মিটার লাইনে এই ক্ষতির প্রভাব পড়েছে। যদিও আপ লাইনেই বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনটির লাইনচ্যুতি হয়েছে। কিন্তু আপাতত ডাউন লাইনটি ঠিক করে ওই লাইনটি দিয়েই আপ এবং ডাউন, দুটি পথে ট্রেন চলাচল শুরু করা হয়েছে। লাইনের যে অংশে এই দুর্ঘটনা ঘটেছিল সেই অঞ্চলটির মধ্যে ঘন্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন-শিক্ষাক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে ‘মডেল মাদ্রাসা’
শনিবার সকালে রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান ময়নাগুড়ির দুর্ঘটনাস্থল দোমহননি পরিদর্শনে যান। আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ট্রায়াল চালু হবার আশ্বাস দিয়েছিলেন কিন্তু রাত পর্যন্ত তার কোনও নমুনা দেখা গেল না। ফের নজরে এল রেলের গড়িমসি। শুধুমাত্র ডাউন লাইনে সীমিত সংখ্যক ট্রেন চালাতে পেরেছে রেল দফতর। আপ লাইনে, যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেটির মেরামত এখনও সম্পন্ন হয়নি। তদন্তের স্বার্থে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনের উপর রাখা হয়েছে বলে রেলের তরফে সাফাই দেওয়া হয়।
এর ফলে বেশকিছু ট্রেন বাতিল, কিছু ট্রেনের যাত্রা সংক্ষিপ্ত করা এবং কিছু ট্রেন ঘুরপথে চালানো হচ্ছে। যেমন উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস কোচবিহারের পরিবর্তে শিয়ালদহ থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত চলাচল করছে, সরাইঘাট, কামরূপ, অয়োধ আসাম ও কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে মাথাভাঙা হয়ে ঘুরপথে চালানো হচ্ছে। শুধুমাত্র রাজধানী এক্সপ্রেসকে ডাউন লাইন দিয়ে চালানো হয়েছে। যার ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা।