জটিলতা অব্যাহত। ধূপগুড়ির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল চন্দ্র রায়ের (Nirmal Chandra Roy) শপথগ্রহণ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে। পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে চিঠিতে মাত্র দু লাইনের উত্তর দিয়ে দায় সারল রাজভবন। এদিকে আজও চিঠিতে বিধায়কের শপথ গ্রহণের দিন উল্লেখ করা হল না। দু’লাইনে লেখা চিঠিতে জানানো হয়েছে, রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস শপথ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে চিঠি দিয়ে যোগাযোগ করেছেন। তিনি যা কথা বলার মুখ্যমন্ত্রীকেই বলেছেন।
গত সোমবার অর্থাৎ ২৫ সেপ্টেম্বর রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছিলেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছিলেন, “ধূপগুড়ির বিধায়ক নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। তাই তাঁকে মানুষের পরিষেবা দিতে হয়। এহেন অবস্থায় অবিলম্বে শপথ গ্রহণের অনুমতি দেওয়া হোক তাঁকে। টানাপড়েনের জেরে ধূপগুড়ির উন্নয়নের কাজ আটকে রয়েছে। সেই কারণে শপথের তারিখ চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত নিতে চিঠি দেওয়া হবে। আগেও শপথগ্রহণ সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছিল। উত্তর পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে, শনিবার অর্থাৎ ২০ সেপ্টেম্বর রাজভবনে ধূপগুড়ির বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়ের শপথগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অথচ নির্মল চন্দ্র রায়কে কিছু জানানো হয়নি বলেই দাবি মন্ত্রীর। ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয় গত ৮ সেপ্টেম্বর। বিজেপির থেকে এই আসনটি ছিনিয়ে নিয়ে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায় (Nirmal Chandra Roy)। তারপর থেকেই শপথগ্রহণ হয়নি নির্মল চন্দ্র রায়ের। যদিও রাজভবনের তরফে বিধায়ককে ফোন করে জানতে চাওয়া হয়, তাঁর রাজভবনে শপথ নিতে কোন অসুবিধা রয়েছে কিনা, এমনটাই সূত্রের খবর। তবে শনিবার শপথগ্রহণ হয়নি।
আরও পড়ুন- হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলেও মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেক
মঙ্গলবার অর্থাৎ ২৬ সেপ্টেম্বর বিধানসভায় শপথগ্রহণের সবুজ সঙ্কেত দিয়ে চিঠি পাঠিয়ে ডেপুটি স্পিকারকে শপথগ্রহণের কথা জানানো হয় রাজভবনের তরফে। তবে ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই বিষয়ে তাঁকে কিছু জানানো হয়নি। অধ্যক্ষের বদলে তাঁকে দিয়ে শপথবাক্য পাঠ করানোটা পরিষদীয় শিষ্টতা এবং রীতির পরিপন্থী বলেই জানান ডেপুটি স্পিকার। স্পিকার পাল্টা রাজভবনে চিঠি পাঠিয়ে বিধাসভায় গিয়ে রাজ্যপালকে শপথগ্রহণের কথা জানান। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ধূপগুড়ির বিধায়কের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের জট কাটল না।