রাজ্যে সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠালেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা (Rajiva Sinha)। ভোট চলাকালীন সিভি আনন্দ বোস ১০ দফা প্রশ্ন ও পরামর্শ দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেন। তার ভিত্তিতে শুক্রবার কমিশনের তরফে এই রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে।
রিপোর্টে জানানো হয়েছে, পর্যবেক্ষকদের রিপোর্ট অনুযায়ী স্পর্শকাতর বুথ চিহ্নিত করা হয়েছিল। ৪৮৩৮টি স্পর্শকাতর বুথ ছিল। এই বুথগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন ছিল। বহু মানুষের চাহিদা ছিল, নির্বাচনের পরেও স্পর্শকাতর এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকুক। আদালতের নির্দেশ মেনে ভোটের পর ১০ দিন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
নির্বাচনের দিন রাজভবনের তরফে প্রায় ২ হাজার অভিযোগ পাঠানো হয়েছিল। তার ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতক দল ও মিডিয়ার মাধ্যমে কমিশনের কাছে ৭১১ টি অভিযোগ কমিশনের কাছে এসেছিল। তার প্রত্যেকটি নিষ্পত্তি করা হয়েছে। কমিশনের কেন্দ্রীয় পোর্টাল এবং জেলাশাসকদের কাছে আসা অভিযোগের ক্ষেত্রেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মহিলাদের হুমকি দিচ্ছে, বাচ্চাদের বাড়ি ছাড়া করছে: বিজেপির পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে বললেন অভিষেক
রিপোর্টে রাজ্য কমিশনার (Rajiva Sinha) জানিয়েছেন, ভোট গণনা শান্তিপূর্ণ হয়েছে। কয়েকটি জায়াগায় গণনাকেন্দ্রের বাইরে জমায়েত ছাড়া বিশৃঙ্খলার খবর আসেনি। দুষ্কৃতী বা যারা গণনাকেন্দ্রের বাইরে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিল, তাদের আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। রিপোর্টে রাজীব সিনহা দাবি করেছেন, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের চেয়ে এবারে ৪২ শতাংশ বেশি মনোনয়ন জমা পড়েছে। এবারের পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থীর সংখ্যাও আগের ভোটের তুলনায় অনেক বেড়েছে। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেখানে ১ লক্ষ ১৫ হাজার প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন সেখানে সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটে ২ লক্ষ ৬ হাজার প্রার্থী ছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বিতার আসনে। তবে রাজ্যপাল কমিশনের পাঠানো এই রিপোর্টে সন্তুষ্ট নন বলে রাজভবন সূত্রের দাবি।