প্রতিবেদন : পরিস্থিতি এখনও অগ্নিগর্ভ। বিক্ষোভের আগুন জ্বলছেই। তবু তারই মধ্যে নতুন শান্তির বার্তা নিয়ে ময়দানে নেমে পড়লেন শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) নতুন প্রধানমন্ত্রী ও ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) নেতা রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে (Ranil Wickremesinghe)। তাঁর প্রথম পদক্ষেপ, প্রশাসন চালাতে বিরোধীদের সহযোগিতা চেয়ে চিঠি। দ্বিতীয় পদক্ষেপ, জনতাকে আশ্বস্ত করতে কারফিউ প্রত্যাহার। রবিবার বিক্রমসিঙ্ঘে (Ranil Wickremesinghe) সর্বদলীয় সরকার গড়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে বিরোধীদের চিঠি লিখেছেন। প্রধান বিরোধী দলের নেতা সাজিথ প্রেমাদসাকে লেখা চিঠিতে সর্বদলীয় সরকার গঠনের খোলা আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশের এই সঙ্কটের সময়ে দলীয় রাজনীতি দূরে সরিয়ে রেখে সবারই এখন জনগণের মুখোমুখি হওয়া উচিত। বর্তমানে আমাদের প্রধান ও একমাত্র কর্তব্য, কালবিলম্ব না করে মজবুত অর্থনীতি গড়ার কাজে হাত দেওয়া। পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্বকারী সব দলের সমর্থন নিয়ে এমন রাজনৈতিক পথ তৈরি করতে হবে, যা জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে। এদিকে তীব্র অর্থনৈতিক সঙ্কটে বিপর্যস্ত দ্বীপরাষ্ট্রে খানিকটা শান্তির পরশ এনেছে বুদ্ধপূর্ণিমা। শনিবারের পর রবিবারও কারফিউ উঠিয়ে নেওয়া হয়। এভাবেই খেপে খেপে কারফিউ শিথিল করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে বিক্রমসিঙ্ঘে সরকার। অন্যদিকে এদিন একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। শ্রীলঙ্কায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে নিহত হন ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য অমরাকীর্থি আথুকোরালা। গত সোমবার তাঁর দেহ উদ্ধারের পর পুলিশ বলেছিল, বিক্ষোভকারীদের তাড়া খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অন্য কথা বলছে। শ্রীলঙ্কার সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিররের খবর, গণপিটুনির জেরেই মৃত্যু হয়েছে ওই সাংসদের।
আরও পড়ুন: করোনায় কাবু কিমের কোরিয়া