নয়াদিল্লি : গত লোকসভা নির্বাচনের আগে গুরুত্বপূর্ণ অযোধ্যা মামলার রায় দেওয়ার পর অবসর নেন দেশের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, অযোধ্যা রায় শুধু যে বিজেপির পক্ষে স্বস্তিদায়ক ছিল তাই নয়, মোদি সরকারের প্রত্যাবর্তনের পথও প্রশস্ত করে। ঘটনাচক্রে এই গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায়দানের পর অবসর নেওয়ার মাত্র চার মাস পরে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতিকে ২০২০ সালে রাষ্ট্রপতি মনোনীত রাজ্যসভার সদস্য করে বিজেপি সরকার।
আরও পড়ুন-জুনেইদ-নাসিরকে পুড়িয়ে খুন, হত্যাকারীরা সবাই গোরক্ষা বাহিনীর সদস্য, যোগাযোগ মিলেছে হরিয়ানা পুলিশের
শুরু থেকেই এই ঘটনা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। প্রশ্ন ওঠে, অযোধ্যা রায়ের পুরস্কার হিসাবেই কি সাংসদ পদ মিলল? তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ রঞ্জন গগৈকে রাজ্যসভায় মনোনীত করেছিলেন। কিন্তু প্রায় তিনবছর রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে গগৈ কী ভূমিকা পালন করেছেন তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রাজ্যসভার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুসারে, রঞ্জন গগৈ সংসদে মনোনীত হওয়ার পর থেকে একটিও প্রশ্ন করেননি। কোনও প্রাইভেট মেম্বার বিল পেশ করেননি। রাজ্যসভার ওয়েবসাইটে ‘মাই পার্টিসিপেশন’ নামে একটি বিভাগ রয়েছে, যেখানে সাংসদের কর্মকাণ্ডের অডিও এবং ভিডিও ক্লিপ পাওয়া যায়। কিন্তু সেখানেও রঞ্জন গগৈয়ের নামে কোনও রেকর্ড নেই।
রাজ্যসভার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুসারে, রঞ্জন গগৈ বিদেশ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য। ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যসভার মোট ১৮৭টি কর্মদিবসের মধ্যে রাজ্যসভার ওয়েবসাইট অনুযায়ী মাত্র ৩৭ দিন উপস্থিত ছিলেন রঞ্জন গগৈ। রাজ্যসভায় সাংসদদের উপস্থিতি রেজিস্টারে স্বাক্ষরের মাধ্যমে নথিভুক্ত হয়। এমতাবস্থায় অনেকের প্রশ্ন, একজন সাংসদ অধিবেশনে যোগ দিয়েও যদি রেজিস্টারে স্বাক্ষর করতে ভুলে যান তবে সেক্ষেত্রেও উপস্থিতির প্রমাণ থাকা সম্ভব নয়।