প্রতিবেদন : তিন বছর সময়টা খুব বেশি নয়। বাংলার বর্তমান রঞ্জি দলের অধিকাংশ সদস্যই ২০১৯-২০ মরশুমে সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে শেষ ফাইনালটা খেলেছেন। রাজকোটের সেই ম্যাচ এখনও গলার কাঁটার মতো বিঁধে রয়েছে মনোজ তিওয়ারি, শাহবাজ আহমেদদের কাছে। স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণায় মলম দিতে এবার ঘরের মাঠে প্রতিশোধের আগুন বুকে নিয়ে নামতে চান বঙ্গ ক্রিকেটাররা।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
ফাইনাল ঘিরে চড়ছে উত্তেজনার পারদ। মঙ্গলবার দুপুরে ইডেন গার্ডেন্সে সৌরাষ্ট্র অনুশীলনে নামার অনেক আগে সকালে মেগা ফাইনালের প্রস্তুতি শুরু করে বাংলা। অনুশীলন শেষে ইডেনের লবিতে দাঁড়িয়ে বাংলার অধিনায়ক রীতিমতো হুঙ্কার দিয়ে রাখলেন জয়দেব উনাদকাটদের। মনোজ সাফ জানালেন, একপেশে ফাইনাল হবে এবং জিতবে বাংলাই। বাংলা দলের শক্তি বিচার করেই এই মন্তব্য তাঁর।
যথারীতি ইডেনের উইকেটে ঘাস রাখা হয়েছে। বিপক্ষ দলে উনাদকাটের মতো পেসার থাকলেও মনোজ জানিয়ে দিলেন, কেন তিনি মনে করছেন ইডেনে একপেশে ফাইনাল হতে চলেছে। বঙ্গ অধিনায়কের কথায়,‘‘আমাদের পেস বোলিংটাই শক্তি। ওদের উনাদকাটের মতো পেসার রয়েছে। কিন্তু সৌরাষ্ট্র ওদের মাঠে যে ধরনের উইকেটে খেলে, সেটা মন্থর হয়। পেসারদের বল পড়ে জোরে যায় না। তাই আমরা ইডেনে এই ধরনের উইকেট চেয়েছি। যেখানে বল ক্যারি হবে। ইডেনের উইকেটে আমাদের পেসাররা অনেক বেশি ভয়ঙ্কর। সৌরাষ্ট্রের প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, আমার মনের কথা, এটা একতরফা ম্যাচ হবে যেটা আমরাই জিতব। দুটো দলের যা শক্তি তাতে বাংলাই এক ধাপ এগিয়ে রয়েছে।’’
সৌরাষ্ট্র শিবির থেকে দাবি করা হয়েছে, মরশুমে তারাই অ্যাওয়ে ম্যাচ সব থেকে বেশি জিতেছে। তা খারিজ করে মনোজ বলেছেন, ‘‘ওসব কথা ফাইনালের আগে বলতে হয়। বাইরের মাঠে আমরাই ওদের থেকে বেশি ম্যাচ জিতেছি।’’
আরও পড়ুন-শেষ প্রচারে ত্রিপুরায় ঝড় তুলল তৃণমূল কংগ্রেস
বিপক্ষ দলের উনাদকাট, চেতন শাকারিয়ার মতো বাঁ-হাতি পেসারদের সামলাতে এদিন নেটে বিশেষ প্রস্তুতি সারেন বাংলার ব্যাটাররা। নেটে একাধিক বাঁ-হাতি পেসারদের বিরুদ্ধে অনুশীলন সারেন অভিমন্যুরা। কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লাও দীর্ঘক্ষণ বল করেন মনোজদের। ফাইনালে বড় রান পাওয়ার লক্ষ্যে মূল পিচে শ্যাডো করে মনঃসংযোগ বাড়াতে দেখা যায় অভিমন্যূ ঈশ্বরণকে। ফাইনালে সম্পূর্ণ ডিআরএস থাকায় খুশি বাংলা শিবির। লক্ষ্মী বলেছেন, ‘‘টস গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। প্রস্তুতি ভাল হয়েছে। ফাইনালের প্রথম দিন শুরুটা ভাল করতে চাই।’’