প্রতিবেদন : সাড়ে পাঁচ মাসের লড়াই শেষ। ইডেনে রঞ্জির ফয়সালা হয়ে গেল রবিবার। ফাইনাল চার দিনেই শেষ। ট্রফি (Ranji Trophy) নিয়ে রাজকোট উড়ে গেলেন জয়দেব উনাদকাটরা।
ইডেনে বসে লক্ষ্মীরতন শুক্লা বলেছেন, ‘‘আমরা একটা প্রসেসের মধ্যে দিয়ে এসেছি। এটা ধরে রাখতে হবে।” কিন্তু কী করে? কেউ জানে না। সিএবি বাংলার বর্তমান কোচিং স্টাফেদের এমন আশ্বাস এখনও দেয়নি যে তাঁরা পরের মরশুমে থাকবেন। অর্থাৎ নতুন কারও আসার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তাহলে এই চালু প্রসেসের কী হবে, এমন প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক।
সৌরাষ্ট্রের কাছে ফাইনালে দাঁড়াতে পারেনি বাংলা। উনাদকাট বলে গিয়েছেন, দুটো ফাইনালিস্ট দলই শক্তিশালী ছিল। তবে তাঁদের শিবিরে যে শান্তির বাতাবরণ ছিল, সেটা বিপক্ষ দলে ছিল না। এতে পাঁচ শতাংশ এগিয়ে ছিলেন শুরু থেকে। কারণ, বিপক্ষের উপর প্রত্যাশার চাপ তৈরি হয়ে গিয়েছিল। আর এতেই ট্রফির ফয়সালা হয়েছে। উনাদকাট আরও বলে গিয়েছেন, আগামী দশ বছর নিশ্চিন্ত সৌরাষ্ট্রের ক্রিকেট। সাপ্লাই লাইন চালু থাকবে। বাংলা তিন বছরে দু’বার ফাইনালে উঠেও সেটা বলতে পারছে না।
আরও পড়ুন: অমর একুশে ফেব্রুয়ারি: বাংলার আবেগ, বাঙালির আবেগ
মরশুমে আটজন ওপেনারকে অভিমন্যু ঈশ্বরণের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল। ফল শূন্য। বেশি প্রশ্ন উঠেছে ফাইনালের এক ওপেনার ও মিডিয়াম পেসারকে নিয়ে। ৩২ বছরের ওপেনার ক্লাব ক্রিকেট থেকে দুম করে রঞ্জি (Ranji Trophy) ফাইনালে পা রেখে ডাহা ব্যর্থ হয়েছেন। আর এক মিডিয়াম পেসারকে দিয়ে মোটে ৭ ওভার বল করানো হয়েছে! সিএবি কি টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে এসবের ব্যাখ্যা চাইবে?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিনিয়র ক্রিকেটার ফাইনালের পর দল নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এদিন টিম ম্যানেজমেন্টের আর এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্যও একই কথা বললেন। ‘‘দিনের শেষে এটা যে রঞ্জি ফাইনাল ছিল, এখানে যে হঠকারিতা চলে না, সেটা কেউ মাথায় রাখেনি।” বলছিলেন তিনি। আরও কিছু বক্তব্য রয়েছে। বিনয় কুমারের নেতৃত্বাধীন কর্ণাটক বা বর্তমান সৌরাষ্ট্র দলের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে পাশে থেকেছে তাদের ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। কিন্তু সিএবিতে প্রতি বছর নতুন ভাবনা-চিন্তা ও পরিকল্পনা হয়। যেমন অরুণ লালকে সরিয়ে এবার আনা হয়েছিল কোচ লক্ষ্মীকে।
এতে মার খাচ্ছে প্রসেস। যে সিস্টেমের মধ্যে প্লেয়ার ও কোচেরা ছিলেন, সেটা বন্ধ। এর পর কী হবে কেউ জানে না। কিন্তু একটা জিনিস সবার জানা, নতুন মরশুমে রঞ্জির দাবি আরও জোরালো হবে! ট্রফি না পেলে হতাশা বাড়বে। পরিকল্পনা? না হয় পরেই হবে!