মায়াঙ্কের গতিতে ছারখার আরসিবি

লখনউ সুপার জায়ান্টস ১৮১/৫ (২০ ওভার) রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ১৫৩ (১৯.৪ ওভার)

Must read

বেঙ্গালুরু: গতির তুফান তুলে সাড়া ফেলে দিয়েছেন দিল্লির ২১ বছরের তরুণ ফাস্ট বোলার মায়াঙ্ক যাদব। পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে আইপিএলে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নেমে ১৫৫.৮ কিলোমিটারে সর্বোচ্চ গতির ডেলিভারি করেছিলেন। চিন্নাস্বামীতে বিরাট কোহলিদের ডেরায় নিজেরই রেকর্ড ভেঙে বলের গতি তুললেন ১৫৬.৭ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। মায়াঙ্কের গতির আগুনে ছারখার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (RCB-Lucknow Super Giants) তারকাখচিত টপ অর্ডার। প্রথম ম্যাচের মতো এদিনও তাঁর নামের পাশে ৩ উইকেট। ৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ১৪ রান। হলেন ম্যাচের সেরাও। ক্যামেরন গ্রিন বলের গতিতে পরাস্ত হয়ে বোল্ড। বল কার্যত দেখতেই পাননি অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডার। ফেরালেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও রজত পাতিদারকেও। ধারাবাহিকভাবে ১৫০ কিমির উপর বল করেও লাইন ও লেন্থে নিয়ন্ত্রণ দেখাচ্ছেন। যা দেখে মুগ্ধ বিশেষজ্ঞমহল।

বেঙ্গালুরুতে (RCB-Lucknow Super Giants) বিরাটদের ২৮ রানে হারিয়ে ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে উঠে এল লখনউ সুপার জায়ান্টস। স্বস্তি দিয়ে এদিন লখনউকে নেতৃত্ব দেন কেএল রাহুল। ব্যাটে বড় রান না পেলেও স্বচ্ছন্দে উইকেটকিপিং করে বিশ্বকাপের আগে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টকে আশ্বস্ত করলেন। অন্যদিকে, ঘরের মাঠে হারের হ্যাটট্রিক করে আরসিবি নেমে গেল ৯ নম্বরে।
লখনউয়ের ১৮১ রান তাড়া করতে নেমে আরসিবি শেষ ওভারে গুটিয়ে যায় ১৫৩ রানে। অথচ চিন্নাস্বামীর ডাবল পেসড উইকেটে বিরাট ( ১২ বলে ২২) ও অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসি (১৩ বলে ১৯) শুরুটা খারাপ করেননি। কিন্তু শুরুর পাওয়ার প্লে-র শেষ ওভারে বল করতে এসে আগুনে গতির মায়াঙ্ক খেলা ঘুরিয়ে দেন। ডুপ্লেসির রান আউটের পর ম্যাক্সওয়েল, গ্রিনকে ফেরান মায়াঙ্ক। অনুজ রাওয়াত আউট হন মার্কাস স্টয়নিসের বলে। এরপর মায়াঙ্কের শিকার পাতিদার। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নেমে মহিপাল লোমরোর (১৩ বলে ৩৩) মরিয়া চেষ্টা করলেও তা যথেষ্ট ছিল না।

আরও পড়ুন- জুমলা সরকার, কেন বদলি করা হবে না কেন্দ্রের অফিসারদের?

টসে জিতে লখনউকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল আরসিবি। রাহুল ও কুইন্টন ডি’কক ওপেনিং জুটিতে ভাল শুরু করেন। কিন্তু শুরুর পাওয়ার প্লে-র শেষ ওভারেই রাহুল (২০) আউট হন ম্যাক্সওয়েলের বলে। দেবদূত পারিক্কল মাত্র ৬ রান করে ফেরেন। এরপর তৃতীয় উইকেট জুটিতে দ্রুত ৫৬ রান যোগ করে চাপ কাটান ডি’কক ও স্টয়নিস। উইকেটের এক প্রান্তের গতি মন্থরতা কাজে লাগিয়ে স্টয়নিসকে (১৫ বলে ২৪) ফিরিয়ে দেন ম্যাক্সওয়েল। একদিক আঁকড়ে দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন ডি’কক (৫৬ বলে ৮১)। শেষটা করেন নিকোলাস পুরান (২১ বলে অপরাজিত ৪০)। পাঁচটি ছক্কা ও একটি চার পুরানের ঝোড়ো ইনিংসে। ডি’কক ফেরার পর ক্যারিবিয়ান ব্যাটারের জন্যই শেষ পর্যন্ত লড়াই করার মতো স্কোর করতে সক্ষম হয় আরসিবি।

Latest article