সবুজ সাথী
সুজাতা দে, মাধ্যমিক পূর্বস্থলী
“আমরা থাকি পূর্বস্থলী এক নম্বর ব্লকের উত্তর শ্রীরামপুর দাসপাড়ায়। বাড়ি থেকে স্কুল তিন কিলোমিটার দূরে। প্রতিদিন তিন তিন ছয় কিলোমিটার হেঁটে গিয়ে পড়াশোনা করা কোনো মতেই সম্ভব ছিল না। কোনও গাড়ি করে যাব, সে সামর্থ্যও ছিল না। বাবা রবীন্দ্রনাথ দে স্থানীয় চিঁড়েরকলে কাজ করে সংসার চালান। মা সোনালী দে বাড়িরই কাজ করেন। সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। আমরা তিন বোন। আমি মেজো। আমাকে পড়াশোনা হয়ত ছেড়েই দিতে হত। যদি না রাজ্য সরকারের সবুজসাথী প্রকল্পের সাইকেল পেতাম। নিয়মিত স্কুল করার দৌলতে এ বছর শ্রীরামপুর ভবতারিণী বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে ভালভাবেই পাশ করেছি। কী বলে যে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাব, বুঝে উঠতে পারছি না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রণাম জানাই, এই ধরনের প্রকল্প চালু করার জন্য। শুধু আমি নয়, আমার মতো অনেকেই সাইকেল পেয়ে নিয়মিত স্কুল করতে পারছে। পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গেলে বাবা-মা বাড়িতে না রেখে নিশ্চয়ই বিয়ে দিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতেন। সাইকেল বাল্যবিবাহ রোধ করেছে, বলাই যায়।”
আরও পড়ুন-নামকরা এক নার্সিংহোমকে অভিনব জরিমানা স্বাস্থ্য কমিশনের