প্রতিবেদন: দুই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ফের ভরাডুবি বিজেপির। তারপরই ফের ঝগড়ায় মেতে উঠেছে গেরুয়া শিবির। হারের জেরে প্রশ্নের মুখে রাজ্য নেতৃত্ব। প্রকাশ্যেই নেতৃত্ব নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন একাধিক নেতা-নেত্রীরা। অধিকাংশেরই নিশানা বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারেরা।
আসানসোলের পরাজিত প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল তো হারের পর সরাসরি বলেছেন, এবার আমাদের নিজেদের দিকে তাকানো উচিত। এরই মধ্যে দলের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে নিশানা করে বোমা ফাটালেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খান।
আরও পড়ুন-চলতে-ফিরতে বিজ্ঞান
শনিবার ভোটের ফলাফল প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই ভরাডুবির জন্য রাজ্য নেতৃত্বকে উদ্দেশ্য করে তোপ দাগেন বিজেপি সাংসদ। বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ এদিন বলেন, ‘অপরিণত রাজ্য নেতাদের নেতৃত্বে ভাল ফল আশা করা যায় না। অপরিণত নেতাদের জন্যই উপনির্বাচনে এই ফল হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, তৃণমূলের থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিষয়টি ভাবা উচিত। যাদের বহিষ্কার করা হয়েছিল তাঁদের ফেরানোর কথাও ভাবা উচিত।’ এদিন একই সঙ্গে ‘সেভবেঙ্গলবিজেপি’ নামে একটি ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকেও কার্যত প্রায় একই প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
আরও পড়ুন-চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হচ্ছে ২৫শে
সেখানে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, বঙ্গ বিজেপির পুর কোর টিমের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা কতটা? তালিকায় সুকান্ত মজুমদার, অমিতাভ চক্রবর্তী, অমিত মালব্য, অগ্নিমিত্রা পালের নাম রয়েছে। এই যদি অবস্থা হয় তাহলে এর থেকে ভাল রেজাল্ট আশা না করাই ভাল বলেই ওই ট্যুইটে দাবি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এই সব নেতাদের ‘পলিটিক্যাল কিড’ বলেই তীব্র কটাক্ষ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে বিজেপি আরও তলানিতে চলে গেল বাংলায়।