বাম জমানার নিয়োগ দুর্নীতির প্যান্ডোরা বক্স খুলে দিল কোর্ট

Must read

প্রতিবেদন : লড়াই শুরু বাম আমলে। বামেদের দুর্নীতি (Recruitment corruption) আর কুকীর্তির বিরুদ্ধে লড়াই। সেই লড়াইয়ে ৪১ বছর পরে জয় পেলেন ৬২ জন। আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার থেকেই নিয়োগপত্র হাতে পেতে শুরু করেছেন ৬২ জন। আরও ৪ জনের অবশ্য মৃত্যু হয়েছে ইতিমধ্যেই। প্রত্যেকেরই বয়স পার হয়েছে ৬০। বাম আমলে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছে সকলে। একদিকে দীর্ঘ লড়াইয়ে জয়ের আনন্দ, অন্যদিকে কর্মজীবনের ৪১টা বছর হারিয়ে যাওয়ার যন্ত্রণা প্রত্যেকেরই চোখেমুখে। প্রশ্ন একটাই, বাম জমানার অপকীর্তির জন্য কি তাঁরা দায়ী? সেই সময় তাঁরা সকলেই ছিলেন শিক্ষকতার জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। প্যানেলে নামও উঠেছিল তাঁদের। কিন্তু প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং প্রশিক্ষণ বিহীন চাকরি প্রার্থী নিয়ে একটা বিতর্ক দেখা দেওয়ায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্যানেলটাই বাতিল হয়ে যায় সেই সময়। ১৯৮৩-তে আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা। গত ২০ ডিসেম্বর আদালত রায় দেন তাঁদের পক্ষে। সেই অনুযায়ী তাঁদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেয় হুগলির প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। আদালতের রায়ে প্যাণ্ডোরাবক্স খুলে যায় বাম আমলের অপকীর্তির। আর এখন নিয়োগপত্র পেয়ে অনেকেই শোনাচ্ছেন শুধুই ইতিহাসের কথা। ৪১ বছর লড়াইয়ের পর নিয়োগপত্র পেয়েও শুধুই হতাশা হুগলি জেলার ষাট-ঊর্ধ্ব প্রবীণদের মধ্যে। ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন সিপিএমের বিরুদ্ধে। জয় যেদিন এল সেদিন বয়সটাই যে পার হয়ে গিয়েছে চাকরির।

আরও পড়ুন- ঐক্যবদ্ধ থাকলে তিন আসনেই জয় সম্ভব : মুখ্যমন্ত্রী

১৯৮৩ সাল থেকে চাকরির জন্য লড়ছিলেন তাঁরা। এতদিন পরে নিয়োগপত্র পেয়েছেন জাঙ্গিপাড়ার স্বপন ঘোষ। তিনি অবশ্য এখন মৃত।স্বপন বাবুর ভাই তপন ঘোষ বলেন,সেই বাম আমলে দাদা শুধুই চাকরির জন্য ছুটে বেরিয়েছে কিন্তু দাদা কট্টর কংগ্রেসী ছিল তাই হয়তো দাদার চাকরিটা হয়ে ওঠেনি।দাদা ছিল পরিবারের বড় । তাঁর উপরে সংসারের দায়িত্ব ছিল। তাই চাকরিটা খুব দরকার ছিল দাদার। কিন্তু কংগ্রেস করতো বলেই হয়তো তখন চাকরিটা হয়নি। নিয়োগপত্র (Recruitment corruption) পেয়ে সিপিএমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন দেবব্রত ঘোষও। বললেন,বাম আমলে আমরা ট্রেনিং নিয়ে সব কিছু করেছিলাম। কিন্তু তখন চাকরিটা পেলাম না।আর এখন ,বাম জমানার লড়াইয়ের ফল পাচ্ছি এই জামানায়।১৯৮৩ সাল থেকে চলছিল লড়াই কিন্তু এখন প্রমাণ হলো বাম সরকার তাদের সাথে যেটা করেছিল সেটা ঠিক ছিলনা।
আর হুগলি জেলায় বাম আমলের এই নিয়োগ দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসার পরেই ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন মহলে।সকলেরই বক্তব্য তাহলে কি বাম আমলে চাকরির সুপারিশ হতো দলীয় কার্যালয় থেকে।আর বিরোধী দল করলে হতে হতো বঞ্চিত।

আরও পড়ুন-ঐক্যবদ্ধ থাকলে তিন আসনেই জয় সম্ভব : মুখ্যমন্ত্রী

শীত আর খুশির আমেজ গায়ে মেয়ে কালীধন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সিপিএমের জন্যই এতবড় সর্বনাশ। ওরা এখন বড় বড় কথা বলে কোন মুখে? আমার বউ খুব ভাল। দাবিদাওয়াহীন। একসময় পুজো করতাম। আর যজমানদের দেওয়া চাল-ডালে সংসার চলেছে। দীনবন্ধু ভট্টাচার্যের কণ্ঠে তীব্র ক্ষোভ সিপিএমের বিরুদ্ধে। সিপিএম আমলের দুর্নীতির শিকার হয়ে তাঁর জীবনে নেমে এসেছে দুর্বিষহ সময়। ৫০ পয়সার ঘুগনি আর চার আনার পাউরুটিতেই খুশি হত তাঁর ছোট্ট মেয়ে। কিন্তু সেই পয়সা ছিল না তাঁর পকেটে। তাঁর মন্তব্য, বামপন্থীরা চাকরির নিয়োগ নিয়ে এত কথা বলছে তারা, কিন্তু তাদের আমলে না হওয়া নিয়োগ নিয়ে মুখে কেন কুলুপ!
শীত আর খুশির আমেজ গায়ে মেয়ে কালীধন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সিপিএমের জন্যই এতবড় সর্বনাশ। ওরা এখন বড় বড় কথা বলে কোন মুখে? আমার বউ খুব ভাল। দাবিদাওয়াহীন। একসময় পুজো করতাম। আর যজমানদের দেওয়া চাল-ডালে সংসার চলেছে। দীনবন্ধু ভট্টাচার্যের কণ্ঠে তীব্র ক্ষোভ সিপিএমের বিরুদ্ধে। সিপিএম আমলের দুর্নীতির শিকার হয়ে তাঁর জীবনে নেমে এসেছে দুর্বিষহ সময়। ৫০ পয়সার ঘুগনি আর চার আনার পাউরুটিতেই খুশি হত তাঁর ছোট্ট মেয়ে। কিন্তু সেই পয়সা ছিল না তাঁর পকেটে। একজনের ক্ষোভ, দাদা কংগ্রেস করতেন বলে আমার চাকরি বাতিল করা হয়েছিল সেই সময়ে। আবার অনেকের আক্ষেপ এখন যে বামপন্থীরা চাকরির নিয়োগ নিয়ে এত কথা বলছে তারা তাদের আমলে না হওয়া নিয়োগ নিয়ে মুখে কেন কুলুপ!

Latest article