প্রতিবেদন : এবার বাম আমলের শিক্ষায় নিয়োগের কুকীর্তি সামনে আনতে শ্বেতপত্র প্রকাশ করবে শিক্ষা দফতর। ‘চিরকুট সিস্টেমে’ সিপিএম তথা বামেরা তাদের রাজত্বকালে কত চাকরি লুঠ করেছে সেই তথ্য সামনে আনার প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে শিক্ষা দফতর। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Education Minister Bratya Basu) নিজেই এ-কথা জানিয়েছেন। ব্রাত্যর (Bratya Basu) কথায়, ১৫ বছর আগে একটা বাড়ির কেউ কাউন্সিলর ছিলেন। তাঁর বাড়ির লোকেরা কে কোথায় কী চাকরি পেয়েছেন, তার একটা তালিকা আমি পার্টির কাছে জমা দিতে বলেছি। তালিকা পেলে এর পুরোটা মিলে একটা শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে পারি। একইসঙ্গে মন্ত্রীর সংযোজন, সে-সময় কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান, লোকাল কমিটি বা জোনাল কমিটির সঙ্গে পরিচিত যাঁরা ছিলেন তাঁরা কে কোথায় চাকরি পেয়েছেন বা এখনও চাকরি করেন— তার পূর্ণাঙ্গ তালিকাও দিতে বলেছি। বেআইনি নিয়োগ নিয়ে সিপিএমের দু-একজন মাতব্বর হইচই করছেন। বাম সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন যাঁরা হাতে মাথা কেটেছেন তাঁরাও এই ‘চিরকুট সিস্টেমের’ অঙ্গ। এখন সে-সব ভুলে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারের গায়ে কালি ছিটোতে— কুৎসা করতে মাঠে নেমেছেন। বাম জমানায় পার্টির সমস্ত হোলটাইমারদের পরিবারের লোকেদের কতজনের চাকরি হয়েছে তার তালিকা সামনে এলে সিপিএমের বিপদ বাড়বে বই কমবে না।
আরও পড়ুন: দুয়ারে সরকার ফের ১ থেকে ২০ এপ্রিল
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘চিরকুট সিস্টেমের’ নাম শুনেছেন? এটা আমাদের রাজ্যে বরাবরই ছিল। এখন প্রযুক্তি থাকার কারণে এটা আরও বেশি করে সামনে এসেছে। আমাদের সময় একটা নির্দিষ্ট ছাত্র সংগঠন না করলে স্কুলে চাকরি পাওয়া যেত না। আমি সৌভাগ্যাবশত এমএ দিয়ে নেট পেয়ে গিয়েছিলাম। আমার কলেজে চাকরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আমার বহু বন্ধু আছে, বহু পরিচিত আছে যারা ছাত্র সংগঠন করত। একটি নির্দিষ্ট দলের কাউন্সিলর বা চেয়ারম্যা নের আত্মীয় বা গ্রাম পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির আত্মীয় বা লোকাল কমিটি বা জোনাল কমিটির সঙ্গে পরিচিত, একাধিক হোল টাইমারের বাড়ির লোকেরা স্কুলের চাকরি পেয়েছেন। এটাই পার্টিকে বলেছি, শিক্ষা সেলকে বলেছি এটা বার করতে। যবে থেকে এসএসসি শুরু হয়েছে। অর্থাৎ ১৯৯৭ সাল থেকে ২০১১-এর এপ্রিল মাস পর্যন্ত। রাজ্যের এই পুরো তালিকা হাতে পেলে শ্বেতপত্র প্রকাশ করব এ-বিষয়ে। সাফ কথা শিক্ষামন্ত্রীর।