প্রতিবেদন : নবম-দশমে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করল রাজ্য। আদালতের নির্দেশে নবম-দশমে অযোগ্যদের চাকরি যাওয়ায় সেই শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করল এসএসসি বা স্কুল সার্ভিস কমিশন। সব ঠিকঠাক চললে শুক্রবারই নিয়োগের সুপারিশপত্র হাতে পেয়ে যাবেন নবম-দশমের ওয়েটিং লিস্টে থাকা ৬৫ জন চাকরিপ্রার্থী, এমনই জানিয়েছে পর্ষদ। এদিন সকাল থেকে পর্ষদের সদর দফতর সল্টলেকের আচার্য সদনে সেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এঁদের মধ্যে অনেকেই ধরনা মঞ্চে আন্দোলন করেছিলেন।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে হাসি ফুটল তাঁদের মুখে। মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলেছেন, সরকার চায় সব যোগ্য প্রার্থীদেরই চাকরি হোক। শিক্ষা দফতরও এর জন্য আগাগোড়া তৎপর। তারাও বলেছে, আদালত যেভাবে বলবে সেভাবেই এগোবে শিক্ষা দফতর। এর আগে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১৬ সালে এসএলএসটি বা স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্টের মাধ্যমে নবম-দশমে সহকারী শিক্ষক পদে অবৈধভাবে চাকরির সুপারিশ পাওয়া ১৮৩ জন প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছিল কমিশন। সিবিআই তদন্তেই উঠে এসেছিল এই অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ পাওয়ার তথ্য। এই প্রার্থীদের অনেকেই স্কুলে শিক্ষকতা করছিলেন। এসএসসির রিপোর্টে দেখা যায় সুপারিশপত্র পাওয়া ১৮৩ জনের মধ্যে ১০২ জন প্রার্থী আবার কাজেই যোগ দেননি।
আরও পড়ুন-সেটের প্রশ্ন এবার বাংলাতেও
সেই রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা পড়ার পর বিচারপতি ১০২টি শূন্যপদে ওয়েটিং লিস্টে থাকা যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ করার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশকে মান্যতা দিয়েই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শুরু করল এসএসসি। তবে, সব শূন্যপদের জন্য ওয়েটিং লিস্টে প্রার্থী পাওয়া যায়নি। ৩৪টি ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিষয় ও ক্যাটাগরিতে ওয়েটিং লিস্টে কোনও প্রার্থী নেই। ওই পদগুলিকে কাউন্সেলিংয়ের বাইরে রাখা হয়েছে। আর কয়েকটি ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা থাকায় হাইকোর্টের পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। বাকি শূন্যপদগুলির জন্য ৬৫ জন প্রার্থীকে কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হয়েছে। এদিকে ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটে ৬ প্রশ্ন ভুল মামলার শুনানিও শেষ হল কলকাতা হাইকোর্টে। শুনানি শেষ হলেও রায়দান স্থগিত রাখে আদালত। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি চলছিল। গত প্রায় চার বছরেরও বেশি সময় ধরে এই মামলা চলছিল।