নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি : জন্ম ও মৃত্যুর তথ্য নথিভুক্ত করা বাধ্যতামূলক করতে চলেছে মোদি সরকার। আসন্ন বাদল অধিবেশনে সেই সংক্রান্ত বিল আসতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। দিল্লিতে নতুন জনগণনা ভবন উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে একথা জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নাগরিকদের নথি আপডেট করা, সরকারি প্রকল্পের উপভোক্তা এবং জন্ম ও মৃত্যুর তথ্য প্রয়োজন। দেশের মানুষের জন্ম ও মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্যের জাতীয়স্তরে তথ্যভাণ্ডার তৈরি করতে চায় মোদি সরকার।
আরও পড়ুন-বিরোধীদের পেটানোর হুমকি দিচ্ছেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী!
রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার তত্ত্বাবধানে সেই তথ্যভাণ্ডার রাখা হবে। এর মাধ্যমে জনসংখ্যা, ভোটার তালিকা, আধার, রেশন কার্ড, পাসপোর্ট এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সের তথ্য আপডেট করতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মোদি সরকার এমন একটি প্রক্রিয়া চালু করতে চলেছে যেখানে কোনও ব্যক্তি ১৮ বছর পূর্ণ হলেই সঙ্গে সঙ্গে উদ্যোগ নিয়ে তাঁর ভোটার কার্ড প্রস্তুতের প্রক্রিয়া শুরু করবে নির্বাচন কমিশন। কারও মৃত্যু হলে পরিবারকে নোটিশ পাঠাবেন জনগণনা রেজিস্ট্রার। ফলে সেই পরিবার জানতে পারবেন এবং আপত্তি জানানোর জন্য পরিবারকে ১৫ দিন সময় দেওয়া হবে। এরপর মৃত ব্যক্তির নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেবে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন-নেইমারকে পেতে আসরে ম্যান ইউ
প্রতি বছর এলাকার জনসংখ্যা সংক্রান্ত একটি সমীক্ষা হয়। একে বলা হয় ডেমোগ্র্যাফিক সার্ভে। এসআরএস সিস্টেমের মাধ্যমে সেই কাজে আরও স্বচ্ছতা আসবে বলে দাবি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। যদিও কবে দেশের জনগণনা শুরু হবে, তা স্পষ্ট করেননি তিনি। তবে জন্ম ও মৃত্যুর নিবন্ধীকরণ আইন সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।