রিমেল-প্রভাবে বৃষ্টিতে স্বস্তি কচুচাষিদের

জেলার উপ কৃষি অধিকর্তা শিবনাথ ঘোষ জানান, আমন ধান রোপণ জুলাই মাসের মাঝামাঝি শুরু হয়। তার আগে জুন মাসে বীজতলা তৈরিতে এই বৃষ্টি চাষিদের খুব উপকার হবে

Must read

সংবাদদাতা, রামপুরহাট : কচুর লতি, ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে কচুর শাক ঘটি-বাঙাল সবারই প্রিয় পদ। সেই কচু এখন লাভদায়ক ফসলও বটে। রিমেলের নিম্নচাপের প্রভাবে বীরভূমে প্রচুর বৃষ্টিপাত না হলেও যা হয়েছে তাতে কচুচাষিরা উপকৃত হবেন। জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রামপুরহাট ১ ব্লকে ৪ মিলিমিটার, রামপুরহাট ২ ব্লকে ৮ মিলিমিটার, মুরারইয়ের দুটি ব্লক মিলে ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

আরও পড়ুন-৩ হাজার কোটি বিলিয়ে দেবেন? অর্থাৎ জনপ্রতি ২১ টাকা ৬০ পয়সা মাত্র

রামপুরহাট থানার আয়াস অঞ্চলের বসুইপাড়া গ্রামের চাষি নবকুমার মণ্ডল এবং নলহাটি থানার পানিটা গ্রামের সুভাষ মণ্ডলরা জানান, জেলা জুড়ে তীব্র দাবদাহে কচুর পাতা লাল হয়ে যাচ্ছিল। তবে রিমেলের প্রভাবে হওয়া বৃষ্টিতে কচুগাছগুলো সতেজ হয়ে গিয়েছে। জেলা উদ্যানপালন বিভাগের উপ অধিকর্তা সুফল মণ্ডল জানান, ঝড় সেরকম তীব্র না হওয়ায় ফল ও শস্য পুষ্ট হবে। জেলার উপ কৃষি অধিকর্তা শিবনাথ ঘোষ জানান, আমন ধান রোপণ জুলাই মাসের মাঝামাঝি শুরু হয়। তার আগে জুন মাসে বীজতলা তৈরিতে এই বৃষ্টি চাষিদের খুব উপকার হবে। চাষিরা ধুলো বীজতলা তৈরি করতে পারবেন, আবার জমিতে জল ধরে রেখে বাতান দিয়েও বীজতলা তৈরি করতে পারবেন। যেহেতু খুব বেশি ঝড় হয়নি, সেই কারণে এই বৃষ্টিতে ভুট্টা গাছ বড় হবে ও তিল গাছও জল পেয়ে ভাল হবে।

Latest article