প্রতিবেদন : ভারতের জলপথে বারবার টার্গেট করা হচ্ছে বাণিজ্যিক জাহাজকে। ড্রোন হামলার লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে সেগুলি। দিনকয়েক আগে গুজরাত থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে ড্রোন হামলার শিকার হয়েছিল একটি জাহাজ। জাহাজের নাম ‘এমভি কেম প্লুটো’। সেই জাহাজ যখন ভারতীয় বন্দরে এসে পৌঁছয় তাতে ড্রোন হামলার চিহ্ন দেখা যায়। এর পাশাপাশি কিছুদিন আগে ভারতগামী এক জাহাজ অপহরণ করেছিল ইয়েমেমের হুথি জঙ্গিগোষ্ঠী।
আরও পড়ুন-বছর শেষে দুটি নতুন রাস্তা পেলেন গ্রামবাসীরা
সম্প্রতি আবার আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে একটি পণ্যবাহী জাহাজ। গত ২৩ ডিসেম্বর ভারতগামী একটি ট্যাঙ্কার জাহাজ ড্রোন হামলার শিকার হয়।
লোহিত সাগর, ইডেন উপসাগর এবং উত্তর-মধ্য বঙ্গোপসাগরে বাণিজ্যিক জাহাজের উপর একাধিক ড্রোন হামলার ঘটনার পর উত্তর ও মধ্য আরব সাগরে নজরদারি আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল ভারত। রবিবার নৌসেনার তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ঘটলে যাতে বাণিজ্যিক জাহাজগুলিকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া যায় সেজন্য বেশ কিছু রণতরী পাঠানো হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে লোহিত সাগর, ইডেন উপসাগর এবং উত্তর-মধ্য আরব সাগরের আন্তর্জাতিক জলপথে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঝুঁকি ক্রমশ বেড়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে এই আশঙ্কা আরও ঘনীভূত হয়েছে।
আরও পড়ুন-শহর থেকে তারের জঙ্গল সাফ করতে কড়া নির্দেশ মেয়রের
ভারতের বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকার কাছে ড্রোন হামলার ঘটনায় উদ্বিগ্ন কেন্দ্র। আরব সাগর তো বটেই, নজরদারি বাড়িয়ে ভারত মহাসাগরকেও এজন্য সুরক্ষিত রাখতে চাইছে নৌসেনা। রণতরীর পাশাপাশি আকাশপথেও নজরদারি চালানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের পর থেকে লোহিত সাগরে ড্রোন হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। অনুমান, এইসব হামলার নেপথ্যে রয়েছে ইরান সমর্থিত হুথি-গোষ্ঠী। তারা জানিয়েছে, ইজরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে হামাসের পক্ষে রয়েছে তারা। সে কারণে ইজরায়েলর সঙ্গে যোগ রয়েছে এমন বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে এধরনের হামলা চলতেই থাকবে। ভারতের ইজরায়েলমুখী অবস্থানে তাই চাপ আরও বেড়েছে। এই হুমকি লঘুভাবে না নিয়ে আগাম সুরক্ষার বন্দোবস্ত করতে চায় ভারতীয় নৌসেনা।