প্রতিবেদন : কড়া নিরাপত্তা বলয় টপকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ঢুকে পড়ার ঘটনার বিষয়ে রিপোর্ট তলব করল নবান্ন। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ডিজি সিকিউরিটি বিবেক সহায়কে এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সোমবার স্বরাষ্ট্রসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা, পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এবং ডিজি সিকিউরিটিকে নিয়ে নবান্নে জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। জানা গিয়েছে, ঘটনার নেপথ্যে গাফিলতি প্রমাণিত হলে নেওয়া হতে পারে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন-মলের পাশে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর স্টল
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে নবান্ন এবং মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরেও নিশ্ছিদ্র করা হচ্ছে নিরাপত্তা। এদিকে নিরাপত্তার বেড়াজাল এড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকে পড়ার জন্য ধৃত ব্যক্তিকে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। সোমবার ধৃত ব্যক্তিকে হাজির করা হয় আদালতে। ১১ জুলাই পর্যন্ত তাকে পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশ হেফাজতে তাকে জেরা করে জানতে চাওয়া হবে ঠিক কী উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে প্রবেশ করেছিল ওই ব্যক্তি। ৭ ঘণ্টা কী করছিল সে। ইতিমধ্যেই পরিচয় জানা গিয়েছে ধৃতের। নাম হাফিজুল মোল্লা। বয়স ৩২।
আরও পড়ুন-শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজের আন্তর্জাতিক সম্মান
বাড়ি হাসনাবাদের আশারিয়া নারায়ণপুর গ্রামে। বাড়িতে রয়েছেন কৃষিজীবী বাবা, মা, স্ত্রী ও শিশুকন্যা। পরিবার এবং এলাকাসূত্রে জানা গিয়েছে, হাফিজুল আদতে একজন ট্যাক্সিচালক। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরেই মানসিক সমস্যায় ভুগছিল সে। দিন সাতেক আগে কলকাতায় ট্যাক্সি চালাতে এসে ছেলে এমন কাণ্ড ঘটিয়ে বসায় হতবাক বাবা-মা। লজ্জিত পরিবার। হাফিজুলের ভাই জানালেন, এর আগেও নবান্নে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ তাকে আটকায়।