সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি : অশান্ত পাহাড় শান্ত হয়েছে। আবার পাহাড়ে ঢল নেমেছে পর্যটকের। পাহাড়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছে। ২০১৭-র পর আবার জিটিএ নির্বাচন হতে চলেছে। পাহাড়ে শান্তিপূর্ণভাবে পুরভোট হয়েছে। মানুষ চায় গণতন্ত্র, চায় শান্তি। এই বার্তা নিয়েই রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে দার্জিলিঙে বিমল গুরুংয়ের অনশনমঞ্চে গিয়ে তাঁর কাছে অনশন তোলার আবেদন জানালেন মন্ত্রী বুলু চিক বরাইক। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিটিএ নির্বাচন নিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। শুধু তাই নয়, জিটিএ নির্বাচনের বিরোধিতা করে দার্জিলিঙে অনশনে বসে পড়েন মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুং।
আরও পড়ুন-এবারও খালি হাতে ফিরলেন বিরাট, বাটলার বিক্রমে ফাইনালে রাজস্থান
শনিবার রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী বুলু চিক বরাইক দার্জিলিঙের বিমল গুরুংয়ের অনশনমঞ্চে উপস্থিত হন। মূলত এদিন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসাবে অনশন তুলে নেওয়ার আবেদন জানাতেই গিয়েছেন বুলু চিক। অনশনমঞ্চে বসে দীর্ঘক্ষণ ইমন খানের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী। সেখানে ছিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি, নারীমোর্চার সভানেত্রী আশা গুরুং প্রমুখ। বুলু চিক দীর্ঘক্ষণ কথা বলার পরে সাংবাদিকদের বলেন, বিমল গুরুঙের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক আছে। অনেকদিন ধরে চিনি।
আরও বলুন-হলদিয়ার শ্রমিক সমাবেশে জনপ্লাবন দেখে মুগ্ধ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
বিধানসভা নির্বাচনের সময় আমার হয়ে প্রচার করেছেন। তাই আমার উচিত, এই সময় বিমলদার পাশে থাকা। তিনি গোর্খা জনজাতির জন্য অনেক কিছু করেছেন। তবে আমি ওঁর স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে বলব, যা সমস্যা আছে তা আলোচনার মাধ্যমে মেটানো যাবে। কিন্তু এখন নির্বাচনীবিধি চালু হয়ে গিয়েছে তাই কিছু বলা সম্ভব নয়। জিটিএ নির্বাচনের পরে আবার আলোচনা হবে। এখন তিনি অনশন তুলে নিন, এই আবেদনই আমি জানিয়েছি। মোর্চার পক্ষ থেকে রোশন গিরি বলেন, ‘আমরা দলে আলোচনা করার পরে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব।’