চিত্রনাট্য যেন একরকম লেখাই ছিল। প্রস্তুত ছিলেন প্রায় সকলে। অপেক্ষা ছিল ঘোষণার। দিল্লি থেকে নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করার পর গোটা ভবানীপুর বিধানসভা অঞ্চলজুড়ে মুহূর্তে হোর্ডিং-ব্যানার-দেওয়ালে দেওয়ালে তৃণমূলের প্রচার শুরু হয়ে গেল। শাসক দলের প্রার্থী খোদ দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রীর প্রচারে কোথাও লেখা, “ভবানীপুর নিজের মেয়েকে চায়” আবার কোথাও লেখা “ভবানীপুর দিদিকে চায়” কিংবা “ভবানীপুরে খেলা হবে”!
আরও পড়ুন- জোকা-তারাতলা মেট্রো পরিষেবা শুরু করতে তৎপর মেট্রো কর্তৃপক্ষ
এখনও পর্যন্ত যে ব্যানার-ফ্লেক্সগুলির চোখে পড়েছে তার বেশিরভাগই লাগানো হয়েছে তৃণমূলের শাখা সংগঠন জয়হিন্দ বাহিনী কিংবা বিভিন্ন অরাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে। করোনা বিধি মেনে বেশ কয়েকটি জায়গায় স্লোগান রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে দিচ্ছেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।
প্রসঙ্গত, শনিবার দুপুরে বাংলার মধ্যে একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র ভবানীপুরে উপনির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে মুর্শিদাবাদের কেন্দ্রে জঙ্গিপুর ও সামসেরগঞ্জে প্রার্থীরা মারা যাওয়ায় ভোট বাকি থেকে গিয়েছে। এই দুই আসনেও ভোট গ্রহণ হবে। গণনা ও ফল ঘোষণা ৩ অক্টোবর। পুজোর ঠিক আগেই দলনেত্রীর কেন্দ্রে ভোট হওয়ায় বেজায় খুশি ভবানীপুরের তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। এখন থেকেই যেন তাদের পুজোর উৎসব শুরু হয়ে গেল।
আরও পড়ুন- একসঙ্গে ২০০ জনের বেশি নয়, টিকাকরণে নয়া নির্দেশিকা স্বাস্থ্য দফতরের
উল্লেখ্য, একুশের নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় দক্ষিণ কলকাতার এই ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে বিজেপির রুদ্রনীল ঘোষকে ২৮ হাজারেরও বেশি ভোটে হারিয়ে ছিলেন। তিনি ইস্তফা দিয়েছেন বলেই এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে। তৃণমূল সূত্রের খবর, আগামী সোমবার, ৬ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেশ করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।