মুম্বই, ২ মে : টানা পাঁচ ম্যাচ হারের পর অবশেষে জয়। তাও আবার ৭ উইকেটের ব্যবধানে। প্লে-অফের স্বপ্নটা আপাতত বেঁচে রইল নাইটদের।
সোমবারের ম্যাচটা কেকেআরের জন্য ছিল ডু অর ডাই। হারলেই শেষ চারে ওঠার স্বপ্ন শেষ। ওই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ালেন নাইটরা। আর এই জয়ে বড় ভূমিকা পালন করলেন নীতীশ রানা ও রিঙ্কু সিং। বোলারদের দাপটে রাজস্থান রয়্যালসকে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫২ রানে আটকে রেখেছিল কেকেআর। কিন্তু সেই রান তাড়া করতে গিয়ে অ্যারন ফিঞ্চ (৪) ও বাবা ইন্দ্রাজিতের (১৫) উইকেট দ্রুত হারিয়ে বসেছিল কেকেআর। অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার ক্রিজে সেট হয়ে গিয়েও ৩২ বলে ৩৪ রান করে আউট হয়ে যান। ফলে আরও একটা হারের আশঙ্কা মাথাচাড়া দিয়েছিল।
আরও পড়ুন-উচ্চমাধ্যমিক পরবর্তী পর্যায়ে জীবনের দিক নির্দেশনা
তবে রিঙ্কু ও নীতীশের ৬৬ রানের ঝোড়ো পার্টনারশিপে যাবতীয় আশঙ্কা ধুয়ে মুছে সাফ। নীতীশ এর আগেও আইপিএলে ম্যাচ জেতানো ইংনিস খেলেছেন। এদিনও চাপের মুখে তাঁর ব্যাট থেকে এল ৩৭ বলে অপরাজিত ৪৮ রান। কিন্তু রিঙ্কু! বেশ কয়েক মরশুম ধরেই কেকেআর টিমের সদস্য রিঙ্কু। তবে ম্যাচ খেলেছেন হাতেগোনা কয়েকটা। দুর্জনরা বলে থাকেন, রিঙ্কু দারুণ আমুদে। সব সময় নাইটদের সাজঘর মাতিয়ে রাখেন। সেই জন্যই তাঁকে দলে রেখে দেওয়া হয়। যদিও সোমবার রাতের ম্যাচে ব্যাট হাতেও নিজের জাত চেনালেন রিঙ্কু। ২৩ বলে অপরাজিত ৪২ রান করে তিনিই ম্যাচের সেরা। যুজবেন্দ্র চাহাল, যিনি কেকেআরের বিরুদ্ধে আগের ম্যাচে হ্যাটট্রিক-সহ পাঁচ উইকেট শিকার করেছিলেন, তাঁকে অনায়াসে বাউন্ডারি হাঁকালেন রিঙ্কু। জয়ের পাশাপাশি এই ম্যাচ থেকে নাইটদের আরও একটা প্রাপ্তি ‘ফিনিশার রিঙ্কু’।
আরও পড়ুন-স্বপ্নভঙ্গ বাংলার, বিজয়নদের সামনে ভারতসেরার ট্রফি জিতল কেরল
টস হেরে ব্যাট করতে নামা রাজস্থানকে শুরুতেই ঝটকা দিয়েছিলেন উমেশ যাদব। নিজের দ্বিতীয় ওভারেই দেবদূত পারিক্কলকে (২) আউট করেন তিনি। সেই ধাক্কা সামলে দলের রান এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন জস বাটলার ও সঞ্জু স্যামসন। কিন্তু ২৫ বলে ২২ রান করে টিম সাউদির শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন বাটলার। ছয় হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে শিবম মাভির হাতে ধরা পড়েন তিনি। রাজস্থানের রান সেই সময় ২ উইকেটে ৫৫। এর পরেও যে রাজস্থান স্কোরবোর্ডে দেড়শোর বেশি রান তুলেছিল, তার জন্য কৃতিত্ব প্রাপ্য সঞ্জুর। অন্যপ্রান্তে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়লেও, দলের রান একার হাতেই এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত সঞ্জু আউট হন ৪৯ বলে ৫৪ রান করে। কেকেআরের হয়ে ৪৬ রানে ২ উইকেট দখল করেন টিম সাউদি। একটি করে উইকেট ভাগ করে নেন উমেশ, অনুকূল রায় ও শিবম মাভি।