আগরতলা : নজিরবিহীন হুমকি। গত কয়েকদিন ধরে ত্রিপুরায় বিজেপির গুন্ডারাজ ও পুলিশরাজ চলার পর এবার বিজেপি বিধায়কের প্রকাশ্য ডাক : ‘‘তৃণমূলের নেতারা এলেই বিমানবন্দরে তাঁদের উপর তালিবানি কায়দায় আক্রমণ করুন।’’ দলের সভায় সর্বসমক্ষে এই হুমকি দিয়ে হামলার নির্দেশ বিধায়কের। আর তারপর যেন আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছে বিজেপির গুন্ডাবাহিনী।
আরও পড়ুন: তালিবান আতঙ্কেই দুই ভাই ঝুলেছিলেন চাকায়
প্রাক্তন সাংসদ ও আইএনটিটিইউসি সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রথমে বিজেপির ভয়ে ঘর দিতে চায়নি একাধিক হোটেল। শেষমেশ কোনওক্রমে একটি হোটেল পান তিনি। সকালে সেটিও ছেড়ে দিতে হয়। তিনি যান দলের নেতা সুবল ভৌমিকের বাড়ি। সেখানে বিপুল সংখ্যক কর্মী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন।
ঋতব্রত বলেন, ‘‘ফ্যাসিবাদী আচরণ করছে বিজেপি। তবে এইভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে আটকানো যাবে না। রাজ্যে তৃণমূল সরকার হবেই।’’
এদিকে তৃণমূল নেতা ও আইনজীবী বিশ্বজিৎ দেবকে খুঁজতে সারারাত তাঁর হোটেল ঘিরে রেখেছিল বাইকবাহিনী এবং বিজেপির মারমুখী কর্মীরা। হোটেল কর্তৃপক্ষ কোনওরকমে সামাল দেন। মিজোরামের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল বিশ্বজিৎবাবুকে বৃহস্পতিবার সকালে পিছনের দরজা দিয়ে বার করতে হয়। পরে তিনি এবং ঋতব্রত বলেন, ‘‘হোটেল ঘিরে সন্ত্রাস অভাবনীয়।’’
এদিকে সুবল ভৌমিক, আশিসলাল সিংরা বলেন, ‘‘হামলা এবং মামলার রাজনীতি উড়িয়ে বহু মানুষ তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন।’’ এদিন অমরপুর, মোহনপুর, বিলোনিয়া, প্রতাপগড় থেকে একাধিক দলের অনেকে যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে । কারণ ত্রিপুরার মানুষ তৃণমূলকেই বিকল্প হিসেবে দেখছেন।
আরও পড়ুন: অশান্ত কাবুল দাপাচ্ছে, তালিবান দেশ ছাড়তে মরিয়া আফগানরা ফেসবুক বার্তা ঘানির
অন্যদিকে এরই মধ্যে বিজেপির সুদীপ রায়বর্মনের পোস্ট নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। বিপ্লব দেবকে সরিয়ে সুদীপকে মুখ্যমন্ত্রী করার কথা চলছিল। সুদীপশিবির আশায় দিন গুনছিলেন। কিন্তু দিল্লি ঘুরে এসে বিপ্লব দেব বুঝিয়ে দেন তিনি এখন পদ হারাচ্ছেন না। এই পরিস্থিতিতে সুদীপবাবুর পোস্ট নতুন জল্পনা ছড়িয়েছে। ফের বড় কোন্দলের আশঙ্কায় বিজেপি। তাদের একাধিক নেতা-নেত্রী ইতিমধ্যেই নিজেদের মানসিকতা প্রকাশ করতে শুরু করেছেন। দলীয় সূত্রের খবর, ত্রিপুরায় বিজেপি কর্মীরাও দলে দলে বিপরীতমুখী অবস্থান নিচ্ছেন।