সুনীতা সিং, বর্ধমান: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই জনমোহিনী শক্তির সাক্ষী থাকল বর্ধমান শহর। ১৩ বছর পরও অটুট মমতা-ম্যাজিক। তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর মমতা বন্দোপাধ্যায় একাধিকবার বর্ধমান শহরে পদযাত্রা করেছেন। কিন্তু ২০১১ সালের আগে বিরোধী দলের নেত্রী হিসাবে তাঁর জন্য মানুষের যে আবেগ আছড়ে পড়ত, তারই প্রতিচ্ছবি দেখা গেল রবিবার।
আরও পড়ুন-‘বাংলার মা, বোনেদের আত্মসম্মান নিয়ে এই খেলাটা খেলবেন না’ বোলপুর থেকে বিরোধীদের আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীর
চলতি লোকসভা নির্বাচনে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী কীর্তি আজাদের সমর্থনে রবিবার বিকালে মমতা যে রোড-শো করলেন, তাতে আপামর মানুষ দেখেছেন সেই পুরনো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই। এদিন বিকেল পৌনে পাঁচটা নাগাদ বর্ধমান শহরের স্পন্দন কমপ্লেক্সে হেলিপ্যাডে নেমে মমতা বন্দোপাধ্যায় শুরু করেন পদযাত্রা। তাঁর সফরসঙ্গী মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস-সহ উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, খোকন দাস প্রমুখ। বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ তো ছিলেনই। এদিন দুপুরের পর থেকেই থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকরা ভিড় জমাতে শুরু করেন স্টেশন এলাকায়। দুপুর ৩টের মধ্যেই বর্ধমান শহরের লাইফলাইন জিটি রোডে থিকথিকে জনতার ভিড়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন পদযাত্রা শুরু করলেন তখন বর্ধমান স্টেশনের ফ্লাইওভার থেকে জিটি রোডে শুধু কালো কালো মাথার সারি। জনঅরণ্যের আকার নিয়েছে বর্ধমান শহরের প্রাণকেন্দ্র।
আরও পড়ুন-অভিষেক ও আমার নাম করে বিজ্ঞাপন দিন, দেখি বুকের পাটা
কাতারে কাতারে তৃণমূল কর্মী-সমর্থক এদিন হাঁটলেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। বর্ধমান স্পন্দন কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়েই গুরুদুয়ারার সামনে অপেক্ষমাণ শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ তাঁকে বরণ করেন। কার্জন গেটের সামনে রাস্তার দু’ধারে থাকা মানুষ ও বাড়ির ওপরে থাকা মানুষকে তিনি নমস্কার জানান। বর্ণাঢ্য মিছিল কালীবাজার মোড়ে পৌঁছতেই সেখানে উপস্থিত তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক উত্তম সেনগুপ্ত এবং তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী শিখা সেনগুপ্তকে দেখে এগিয়ে যান জননত্রী। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। জিটি রোডে ছিন্নমস্তা কালীমন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে প্রণাম করেন। পুলিশ লাইনে গাড়িতে ওঠার সময় কীর্তি আজাদের বিহার এলাকার কয়েকজনকে দেখে মমতা বলেন, আপনারা কীর্তি আজাদের পরিবার। হিন্দি ভাষাভাষী এলাকায় ভাল ফল করতে হবে। কীর্তি আজাদ ভাল প্রার্থী, তিনবার সাংসদ ছিলেন। সম্মতি জানান উপস্থিত সকলে। এরপর পুলিশ লাইন থেকে হেলিকপ্টারে তিনি উড়ে যান দুর্গাপুরের দিকে।