প্রতিবেদন : করোনা নিয়ন্ত্রণে আসতেই রাজ্য জুড়ে দাপট এখন ডেঙ্গির। আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে প্রতিদিনই। মৃত্যু মিছিলও থামছে না, ফলে বাড়ছে আতঙ্ক। সঙ্গে দোসর ম্যালেরিয়া। বিভিন্ন পকেটে ছড়িয়েছে অজানা জ্বর। এই অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন অনেকেই। উত্তর বাংলায় গত কয়েকদিনে বেড়েছে স্ক্রাব টাইফাসের দাপট। সবমিলিয়ে আতঙ্কের পরিবেশ। এর মধ্যেই বিশেষজ্ঞদের চিন্তা বাড়িয়ে এল আরএস ভাইরাস। রেসপিরেটরি সিনসেস্যাল ভাইরাসে আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে মূলত শিশুরাই।
আরও পড়ুন-সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন প্ল্যাটফর্ম ক্যু অ্যাপে যুক্ত হলেন মুখ্যমন্ত্রী
সদ্যোজাত থেকে শুরু করে দু’বছরের শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে এই ভাইরাসে, এমনই দাবি বিশেষজ্ঞদের। আরএস ভাইরাসের বাড়বাড়ন্তে উদ্বিগ্ন চিকিৎসকমহলের একাংশ। জানা গিয়েছে, এই ভাইরাস মূলত ৪ দিনের সদ্যোজাত থেকে ২ বছর বয়সি শিশুদের আক্রমণ করছে। চিকিৎসকরা বলছেন, ডেঙ্গি সংক্রমণের মধ্যেই বেশ কিছু শিশুর শরীরে বাসা বেঁধেছে এই ভাইরাস। পার্ক সার্কাসের আইসিএইচ বা ইন্সটিটিউট অফ চাইল্ড হেলথ-এর একটি সূত্রের দাবি, গত ২ মাসে আরএস ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৫০টি শিশুকে আনা হয়েছিল তাঁদের হাসপাতালে। তবে চিকিৎসার পর অনেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন-জলজীবন মিশনে খরচ ৩,৩৭৮ কোটি
গত বছর ঠিক এই সময়েই উত্তরবঙ্গে ধরা পড়েছিল আরএস ভাইরাসের সংক্রমণ। স্বাস্থ্য ভবন থেকে বিশেষজ্ঞদের একটি টিম তখন উত্তরবঙ্গে গিয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, হালকা জ্বর, নাক দিয়ে জল পড়া, শুকনো কাশি, গলা ব্যথা, হাঁচি, মাথার যন্ত্রণা, খাওয়ার ইচ্ছে চলে যাওয়া, ফুসফুস ও শ্বাসনালিতে সংক্রমণ হলে সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন আছে। এই ভাইরাস চিহ্নিত করার পরীক্ষাও কিছুটা ব্যয়বহুল। ফলে সবমিলিয়ে আরএস ভাইরাস নিয়ে চিন্তা বাড়ছে বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু এই ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণের কোনও ওপায় পাওয়া যাচ্ছে না।