প্রতিবেদন : বিজেপির নোংরামির বিরুদ্ধে পরিষদীয় রীতিনীতি মেনে পাল্টা প্রতিরোধ। বিধানসভার (Assembly- TMC) অন্দরে শাসকদলের এই নতুন রণকৌশলে ঘায়েল বিরোধীপক্ষ। বৃহস্পতিবার এই নজিরবিহীন ঘটনাপ্রবাহের সাক্ষী থাকল বিধানসভার স্বল্পকালীন অধিবেশন।
আরও পড়ুন-অশান্তি তৈরি করছে বিরোধীরা দেউচা পাঁচামি হবেই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
এদিন শাসক তৃণমূল কংগ্রেস (Assembly- TMC) এবং বিরোধী বিজেপির বিক্ষোভ-পাল্টা বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজ্য বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিজেপির স্লোগান হইহট্টগোলের বিরুদ্ধে পাল্টা প্ল্যাকার্ড হাতে মাঠে নামেন শাসক দলের সদস্যরা। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজার মতো মহিলা নেতৃত্বকে সামনে রেখে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়। অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দুর্নীতি ইস্যুতে মুলতুবি প্রস্তাব আনতে অধ্যক্ষর অনুমতি চান। অধ্যক্ষ বিষয়টি বিচারাধীন বলে দাবি করে সেই অনুমতি না দেওয়ায় বিজেপি সদস্যরা পোস্টার সহযোগে স্লোগান শাউটিং শুরু করেন। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যরাও পাল্টা স্লোগান দেওয়া শুরু করেন। এরপরেই দু’পক্ষ বাইরে বেরিয়ে আসে। বিরোধী দলনেতার ‘ডোন্ট টাচ মাই বডি’ মন্তব্যকে কটাক্ষ করে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে এজেন্সির অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়করা বিধানসভা চত্বরে মিছিল করেন। বিজেপি সদস্যরাও বাইরে বিক্ষোভ অবস্থান শুরু করে। পরে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজনীতি অনেকদিন করেছি। এরকম কখনও দেখিনি। সমালোচনার অধিকার আছে। হাউসটাকে অচল করার চেষ্টা করছে। তাই বাধ্য হয়ে এই কাজ করেছেন শাসক দলের বিধায়করা। বিরোধী দলনেতা প্রতিদিন হাউসটাকে নষ্ট করছেন। তাই এই প্রতিবাদ করা হয়েছে।” এদিকে এদিন অদিতি মুন্সি, অসীমা পাত্র-সহ তৃণমূলের মহিলা বিধায়করা অধিবেশনের শুরুতেই বিজেপিকে কটাক্ষ করে তৈরি করা ‘ডোন্ট টাচ মাই বডি’ পোস্টার দেখাতে শুরু করেন।