প্রতিবেদন : স্বস্তি আদৌ বজায় রইল না। বরং দাবি ও পাল্টা দাবির আবহে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধের সম্ভাবনা ক্রমশই বাড়ছে। দিন তিনেক আগে রাশিয়া দাবি করেছিল, ইউক্রেন সীমান্ত থেকে তারা তাদের সেনা আংশিক সরিয়ে নিচ্ছে। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি একেবারেই ভিন্ন কথা বলছে। উপগ্রহ চিত্র থেকে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে, রাশিয়ার সেনা সরে যাওয়া দূর অস্ত, বরং ক্রমাগত ইউক্রেন সীমান্তে সেনা পাঠাচ্ছে মস্কো। এই মুহূর্তে ইউক্রেন সীমান্তের ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থান করছে রুশ সেনা।
আরও পড়ুন:নতুন প্রজাতি নিয়ে সতর্ক করল হু
এই উপগ্রহ চিত্রকে সামনে রেখে রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাল আমেরিকা। আমেরিকার বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, ইউক্রেন সীমান্তে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছে রাশিয়া। নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সভায় ব্লিনকেন বলেন, গোয়েন্দা তথ্য এবং উপগ্রহ চিত্র থেকে স্পষ্ট, ইউক্রেনকে আক্রমণের জন্য যে কোনও মুহূর্তে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে রাশিয়ার সেনা। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের উপর হামলা না চালানোর বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘের কাছে রাশিয়াকে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে বলে দাবি করেন ব্লিনকেন। এরইমধ্যে মার্কিন দূতাবাসের এক আধিকারিককে বরখাস্ত করেছে রাশিয়া। ফলে পশ্চিমি দুনিয়ার সঙ্গে পুতিন সরকারের কূটনৈতিক টানাপোড়েন আরও বাড়ছে।
আরও পড়ুন:বিজেপির ডবল ইঞ্জিন কী বস্তু, বুঝেছে পারশোলা
উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, ইউক্রেন সীমান্তের কমপক্ষে ১৪টি জায়গায় ঘাঁটি গেড়েছে রাশিয়ার সেনা। তিনদিনের মধ্যে সেখানে রাতারাতি তৈরি করেছে একটি অস্থায়ী সেতু। রাশিয়ার সীমান্ত শহর ভালিউকিতে বেশ কিছু সাঁজোয়া গাড়ি ও সেনা মজুত রেখেছে রাশিয়া। দক্ষিণ-পশ্চিম রাশিয়ার এই শহরটি ইউক্রেন সীমান্ত থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে। শুক্রবার ক্রিমিয়ার বন্দরে পৌঁছেছে রাশিয়ার তিনটি যুদ্ধজাহাজ। সামরিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান, এই মুহূর্তে রাশিয়ার মোট সেনার অর্ধেকই ইউক্রেন সীমান্তে অবস্থান করছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও রাশিয়ার সেনা সরানোর কথা উড়িয়ে দিয়েছেন। যুদ্ধের আশঙ্কায় ইউক্রেনে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু যুদ্ধবিমান পাঠাতে শুরু করেছে ন্যাটোবাহিনী।