প্রতিবেদন : যুদ্ধের শুরুতেই স্নেক আইল্যান্ডের দখল হারিয়েছিল ইউক্রেন। একরোখা মনোভাব দেখিয়ে ফের স্নেক আইল্যান্ডের দখল নিল ইউক্রেনীয় সেনা। জেলেনস্কি বাহিনীর লাগাতার আক্রমণের মুখে শেষপর্যন্ত পিছু হটতে বাধ্য হল পুতিন বাহিনী। রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলা যুদ্ধে এই ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন-তীব্র ভর্ৎসনা করে নূপুরকে যা বলল সুপ্রিম কোর্ট
রুশ সেনা কৃষ্ণ সাগরের বুকে অতি গুরুত্বপূর্ণ এই দ্বীপ দখল নেওয়ার পরও পাল্টা প্রত্যাঘাতের চেষ্টায় প্রাণপণ লড়াই চালিয়েছে জেলেনস্কি বাহিনী। অসম এই লড়াইয়ে অনেক ইউক্রেনীয় সেনা প্রাণ হারান। এপ্রিলের শেষ দিক থেকেই স্নেক আইল্যান্ড পুনর্দখল করার জন্য তৎপর হয়ে ওঠে ইউক্রেনীয় সেনা। মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে কৃষ্ণ সাগরের বুকে স্নেক আইল্যান্ড-সহ আরও কয়েকটি রুশ নৌঘাঁটি দখলের জন্য ফের অভিযান শুরু করে ইউক্রেন। গত মাসে কৃষ্ণ সাগরের বুকে অস্ত্র ও সেনা বোঝাই একটি রুশ যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস করে দিয়েছিল জেলেনস্কির সেনা।
আরও পড়ুন-জলবন্দি কাছাড় রাস্তার উপরেই কেমোথেরাপি!
তারপরই কার্যত ব্যাকফুটে চলে যায় মস্কো। শেষ পর্যন্ত স্নেক আইল্যান্ড থেকে ক্রেমলিনকে পুরোপুরি পিছু হটতে হল। ইউক্রেনের এই জয়কে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। তবে স্নেক আইল্যান্ডের দখল হারানোকে পরাজয় বলে মনে করছে না রাশিয়া। রুশ প্রতিরক্ষা দফতর জানিয়েছে, ইউক্রেনের বিভিন্ন বন্দর থেকে খাদ্য আমদানি-রফতানি করার চেষ্টা চালাচ্ছে রাষ্ট্রসংঘ। রাষ্ট্রসঙ্ঘের কাজে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করার কোনও ইচ্ছাই নেই মস্কোর। সে কারণেই স্নেক আইল্যান্ড থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত। তবে মস্কোর এই বিবৃতিকে মুখ রক্ষার কৌশল হিসাবে দেখছেন অনেকেই।