প্রতিবেদন : কিশোর বর্মন, জামালদহ তুলসী দেবী উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র।
“আমার বাড়ি কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ ব্লকের জামালদহ এলাকায়। বাবা রবি বর্মন বর্তমানেও তিনি ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজে কর্মরত। মাসে মাসে সামান্য কিছু টাকা পাঠান। তাই দিয়েই কোনও রকমে সংসারে দুবেলা দুমুঠো ভাত জোটে। মা সাধারন গৃহবধূ। আমরা দুই ভাই বোন। বাড়ি থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে জামালদহ তুলসী দেবী উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আমি পড়তে যাই। এতদিন আমাদের সাইকেল কেনার সামর্থ ছিল না। নুন আন্তে পান্তা ফুরোর সংসারে যেখানে দুবেলা অন্ন জোটে অতি কষ্টের। ফলে পায়ে হেঁটেই কিংবা টোটো, গাড়িতে করে স্কুলে যেতে হতো। এতে কখনও কখনও গাড়ি ভাড়ার টাকা থাকত না। এরপর মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবুজ সাথী প্রকল্পের দৌলতে নতুন সাইকেল পাই। সেই সাইকেলে করে আমি এখন স্কুলে যাচ্ছি। ধন্যবাদ দিদি।