আমি নিয়মিত বই পড়ি। দেশি এবং বিদেশি বই। এই মুহূর্তে পড়ছি স্টিভেন পিংকেরের লেখা ‘এনলাইটমেন্ট নাউ’। মাঝামাঝি পর্যায়ে আছে। কিছুদিন আগে পড়লাম ড্যানিয়েল গোলম্যান-এর লেখা দুটি বই ‘সোশ্যাল ইন্টেলিজেন্স’ এবং ‘ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স’।
আরও পড়ুন-তন্ময় রায়চৌধুরী (অ্যাডিশনাল কমিশনার, কলকাতা পুলিশ)
এর পাশাপাশি বাংলা বইও পড়ছি। পথিক গুহর লেখা একটি বই পড়লাম। বিজ্ঞান বিষয়ক তাঁর প্রবন্ধ সংকলন। এছাড়াও পড়লাম এবারের কিছু পুজো সংখ্যা। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের একটি উপন্যাস আমার মন ছুঁয়ে গেল। ভাল লিখেছেন নতুন লেখকরাও। তবে একটা বিষয় মনে হয়, সত্যজিৎ রায়ের শূন্যস্থান আজও পূরণ হয়নি। তাঁর শঙ্কু, ফেলুদা প্রকাশিত হলেই পড়তাম। এখন কমিকস আকারে প্রকাশিত হচ্ছে সেইসব লেখা। পড়তে ভালই লাগে।
আরও পড়ুন-Children’s Day: জহরলাল নেহেরুর জন্মশতবর্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রদ্ধার্ঘ্য
তুলনামূলক ভাবে আমি বিদেশি লেখকদের লেখা বেশি পড়ি। কারণ ওঁরা অনেক বেশি সময় নিয়ে গবেষণা করে লেখেন। ফলে ওঁদের লেখা অনেক তথ্যসমৃদ্ধ হয়। বিদেশি পাবলিশিং হাউস থাকে তাঁদের পিছনে। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ‘সেই সময়’ এবং ‘প্রথম আলো’ লিখেছিলেন গবেষণা করেই। মনে পড়ছে সমরেশ বসুর কথা। রামকিঙ্করকে নিয়ে তাঁর ‘দেখি নাই ফিরে’ গবেষণা করেই লেখা। কালকূট নামে যে লেখাগুলো লিখতেন, সেগুলোও গবেষণামূলক।
অমিতাভ ঘোষের অনেক লেখা আমি পড়েছি। গবেষণা করে লেখেন। বাংলাদেশের লেখাও আমি পড়ি। হুমায়ুন আহমেদ আমার খুব পছন্দের লেখক। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, হুমায়ুন আহমেদের লেখায় একটা গতি ছিল। শুরু করলে শেষ পর্যন্ত পড়তে হত। অসাধারণ বর্ণনা। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের লেখায় দেখা যায় চমৎকার সংলাপ। সৈয়দ মুজতবা আলি, শঙ্কু মহারাজ, সুবোধ ঘোষের লেখা পড়ে ভাল লেগেছে। এঁদের পাশাপাশি নতুনদের লেখাও পড়ি।