সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা : রাজ্যের পুলিশ ও প্রশাসনের কঠোর মনোভাবের জেরে ছন্দে ফিরছে সন্দেশখালি। খুলছে দোকানপাট, হাট-বাজার। জীবনযাত্রা ক্রমশ স্বাভাবিক হচ্ছে। হচ্ছে সরস্বতী পুজোও। এরই মধ্যে নতুন করে গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মঙ্গলবার বসিরহাটে বসেই গন্ডগোল করেন। বিজেপি কর্মীদের ছোঁড়া ইটে একাধিক পুলিশ কর্মী, সিভিক ভলান্টিয়ার আহত হন। কিন্তু সংযত ছিল পুলিশ। রাত কাটিয়ে বুধবার তারা সন্দেশখালি যেতে চাইলে পুলিশ আটকায়। পুলিশের গাড়ির উপর উঠে নাটক শুরু করেন সুকান্ত। তবে পুলিশ সতর্ক ও তৎপর থাকায় বড় ধরনের কোনও গোলমাল হয়নি। পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক।
আরও পড়ুন-ঘুরে আসুন রাজগীর
এদিন বারাসত রেঞ্জের ডিআইজি সুমিত কুমার ও বসিরহাট পুলিশ সুপার হোসেন মেহেদি রহমান সন্দেশখালি আসেন। ডিআইজি জানান, উত্তেজনাপ্রবণ ১৯টি জায়গায় সামান্য পরিসরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। তার জন্য মাইকে প্রচার চলছে। এছাড়াও ডিআইজি সিআইডি সোমা দাস মিত্রের নেতৃত্বে ১০ জন মহিলা পুলিশের প্রতিনিধি দল সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগ নথিভুক্ত করার পাশাপাশি তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এই দলে সোমা দাস মিত্র ছাড়াও রয়েছেন এএসপি (সুন্দরবন) চারু শর্মা, ডিআইজি এসটিএফ দেবস্মিতা দাস। তাঁরা এদিন সাধারণ পোশাকে গ্রামে ঘুরে ঘুরে মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন। সার্বিকভাবে ১৪৪ ধারা উঠে যাওয়ায় এদিন ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হয়েছে। বাজারঘাট খোলায় জনজীবন অনেকটাই স্বাভাবিক। কেন্দ্রের মহিলা কমিশনের সদস্যরাও এদিন এলাকার মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে বাইরে থেকে সন্দেশখালিতে জমায়েত হওয়াকে স্থানীয় মানুষদের একাংশ পছন্দ করছেন না।