নির্বাচন কমিশনের তুঘলকি আচরণ। আবারও রাজ্য পুলিশের ডিজি বদল। সোমবারই রাজীব কুমারকে পদ থেকে সরিয়ে সেখানে বিবেক সহায়কে বসানো হয়। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই তাঁকে সরিয়ে সেই পদে বসানো হল সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে (Sanjay Mukherjee)। কারণ, হিসেবে জানানো হয়েছে, প্রবীণ আইপিএস অফিসার বিবেক সহায়ের চাকরির মেয়াদ ৬ মাসও নেই। সেই কারণেই তাঁকে গতকাল অন্তর্বর্তীকালীন DGP পদে বসানো হলেও, মঙ্গলবারই তাঁকে সরিয়ে সেই পদে অত্যন্ত পরিচিত মুখ সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দিল কমিশন।
মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিককে চিঠি দিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানায়, রাজ্য পুলিশের ডিজির পদে সঞ্জয়কে বসানোর অনুমতি দিয়েছে কমিশন। এদিন বিকেল ৫টার মধ্যেই সঞ্জয়কে (Sanjay Mukherjee) ডিজির দায়িত্ব দিতে হবে রাজ্যকে।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে লোকসভা ভোট করার দাবি তৃণমূলের
নির্বাচন কমিশনের আদর্শ আচরণ বিধি লাগু হওয়ার পরেই সোমবার বিজেপির মর্জি মাফিক রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে পদ থেকে সরিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন। নতুন ডিজি পদের জন্য রাজ্যের তরফ থেকে তিনজন সবচেয়ে সিনিয়র আইপিএস অফিসারের নাম পাঠানো হয়। সেই তালিকায় প্রথম নাম ছিল রাজ্য পুলিশের হোম গার্ডের ডিজি বিবেক সহায়ের। দ্বিতীয় নাম সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় ও তৃতীয় নাম রাজেশ কুমারের। সেই মতো সোমবারই নিয়ে বিবেক সহায়ের নামে সিলমোহর দেয় জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কিন্তু একটি দিনও পেরলো না। বিবেক সহায়কে সরিয়ে সেই পদে বসানো হয় সঞ্জয়কে। কমিশনের তরফ এদিন বিকেল পাঁচটার মধ্যেই তাঁকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে বলা হয়েছে। একদিনের DGP হিসেবে নাম থাকল বিকেল সহায়ের।
কিন্তু ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠছে, কেন এই তুঘলকি আচরণ! বিবেক সহায়ের অবসর নেওয়ার কথা ৩১ মে। কিন্তু নির্বাচন প্রক্রিয়া চলবে জুন মাস পর্যন্ত। সেই কারণেই এই বদল। তাহলে সোমবার যখন রাজ্যের তরফে তালিকা পাঠানো হল, তখন সেই তালিকায় তো সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়েরও নাম ছিল। সিনিয়ার হিসেবে প্রথমে সহায় ও দ্বিতীয় সঞ্জয়। তাহলে বিবেক সহায়কে পদে বসানোর নির্দেশ দেওয়ার আগে কি কমিশন দেখেনি তাঁর চাকরির মেয়াদ কতদিন? তখনই তো সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দেওয়া যেত! বিরোধীদের মতে, বিজেপির অঙ্গুলি হেলনেই চলছে কমিশন। সেই কারণেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সময় লাগছে তাদের।