নয়াদিল্লি, ১০ ডিসেম্বর : নেই নেই করে কেটে গিয়েছে অনেকগুলো বছর। কিন্তু সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা এখনও ভুলতে পারেননি রবি শাস্ত্রী। তাই সুযোগ পেয়েই মুখ খুললেন টিম ইন্ডিয়ার সদ্যপ্রাক্তন হেড কোচ। শাস্ত্রীর অভিযোগ, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে এমন কিছু ব্যক্তি আছেন, যাঁরা ২০১৬ সালে তিনি ভারতীয় দলের কোচ হন, এটা চাননি!
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২৪ জুন ভারতীয় দলের কোচ হিসেবে অনিল কুম্বলেকে বেছে নিয়েছিল বিসিসিআইয়ের ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটি। যার তিন সদস্য ছিলেন শচীন তেন্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং ভিভিএস লক্ষ্মণ। অথচ ২০১৪ সাল থেকে শাস্ত্রী ছিলেন ভারতীয় দলের ডিরেক্টর। তিনিও সেই সময় কোচ হওয়ার দৌড়ে ছিলেন।
এত বছর পর এক সাক্ষাৎকারে সেই বিতর্কিত অধ্যায় নিয়ে মুখ খুললেন শাস্ত্রী। তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, ‘‘আমাকে বলা হয়েছিল ধারাভাষ্যের কাজ ছেড়ে দিয়ে ভারতীয় দলের ডিরেক্টরের দায়িত্ব নিতে। আমিও সবকিছু ছেড়েছুড়ে দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে অন্ধকারে রেখেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় মনে হয়েছিল চক্রান্ত করেই আমাকে সরিয়ে দেওয়া হল।’’
আরও পড়ুন : বিরাটকে নিয়ে নির্বাচকদের তোপ মদনলালের, সামনে তাকানোর বার্তা বেঙ্গসরকারের
এই ঘটনায় তিনি যে প্রচণ্ড অপমানিত হয়েছিলেন, তা গোপন করেননি শাস্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ভীষণ খারাপ লেগেছিল সেই সময়। হতেই পারে আমাকে অনেকেরই পছন্দ হচ্ছিল না। তবে সেটা সরাসরি জানিয়ে দিলেই পারত। যাই হোক, ফের আমি ধারাভাষ্য দেওয়ার কাজ শুরু করেছিলাম। কিন্তু মাত্র ৯ মাস পরেই আমাকে আবার দলের দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছিল। যাতে আমি অবাক হয়েছিলাম। মনে হয়েছিল, যাকে সরিয়ে দেওয়া হল, তাকেই আবার দায়িত্ব দেওয়া হল!’’
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হারের পরেই কোচের দায়িত্ব ছেড়ে দেন কুম্বলে। শোনা গিয়েছিল অধিনায়ক বিরাট কোহলির সঙ্গে মতের অমিলের জন্যই আর কোচ থাকতে রাজি হননি তিনি। এরপর শাস্ত্রীকে ফের জাতীয় দলের কোচ করা হয়।
শাস্ত্রীর দাবি, ‘‘আমাকে সেই সময় বলা হয়েছিল দলে কিছু সমস্যা শুরু হয়েছে। যা শুনে আমি অবাক হয়েছিলাম। কারণ আমি যতদিন দায়িত্বে ছিলাম, ততদিন এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। তাই ভেবেছিলাম, কী এমন ঘটল যে মাত্র ৯ মাসেই ছবিটা পাল্টে গেল!’’