সুমন করাতি : হুগলি জেলার আলোর শহর চন্দননগর জুড়ে এখন উৎসবের আবহ। চন্দনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো পৃথিবী বিখ্যাত। মঙ্গলবার পঞ্চমীর দিন থেকেই সেজে উঠেছে গোটা শহর। বরাবরই এখানকার বিশালাকার অপরূপ দেবী মূর্তি ও আলোকসজ্জা চুম্বকের মতো টেনে নেয় দর্শনার্থীদের। জগদ্ধাত্রী পুজো দেখতে শুধু হুগলি জেলারই নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসে অসংখ্য মানুষ।
আরও পড়ুন : শুভেন্দু হটাও, নন্দীগ্রাম বাঁচাও
বিশেষ করে আলোকসজ্জা দেখার জন্য সন্ধের পর থেকেই ভিড় বাড়তে শুরু করে ভদ্রেশ্বর, মানকুন্ডু ও চন্দননগরে। কিন্তু এবার করোনার কারণে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও বদলেছে। কোভিডবিধি মেনেই চলছে পুজোর আয়োজন। ভিড় নিয়ন্ত্রণে সতর্ক পুজোকমিটিগুলোও। মণ্ডপে যাতে বেশি ভিড় না হয় সেদিকে সজাগ নজর থাকছে পুজো উদ্যোক্তা থেকে প্রশাসনের।বুধবার চন্দননগরে ষষ্ঠী, কিন্তু পঞ্চমীর থেকেই মানুষের ঢল নামতে দেখা গেছে আলোর শহর চন্দননগরে।আর যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সতা নিয়েও সতর্ক পুলিশ। এরই মধ্যে সুন্দর আলোর কারুকার্যে সেজে উঠেছে আলোর শহর চন্দননগর। তার উপর প্রশাসন অষ্টমী ও নবমীতে নাইট কার্ফু তুলে নেওয়ায় খুশির হাওয়া পুজো উদ্যোক্তা থেকে দর্শনাথীদের মধ্যে। আলোকসজ্জা ও প্রতিমার পাশাপাশি দর্শনার্থীদের মন কাড়ছে বিভিন্ন পূজোমণ্ডপের সাজসজ্জাও। এরই মধ্যে চন্দননগর জগদ্ধাত্রী পুজো কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে বুধবার এক সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। কোভিডবিধি মেনে এ বছর মোট ১৭১টি পুজো হচ্ছে চন্দননগরে। প্রশাসনের দেওয়া করোনাবিধি মেনেই জগদ্ধাত্রী পূজার আয়োজন করা হয়েছে বলেও জানান কর্তারা। ১৩ ও ১৪ তারিখ দু’দিন ধরে বিসর্জনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিদিন সকালে প্রতিটি মণ্ডপ চত্বর স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে বলেও জানান হয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শুভজিৎ সাউ এ খবর জানান।