সুমন করাতি, হুগলি: উপযুক্ত পরিকাঠামো ছাড়াই লড়াই চালিয়ে কলকাতায় অনুষ্ঠিত এ বছরের জাতীয় সাঁতারে একটি সোনা ও তিনটি রুপোর পদক জিতে নিল বাঁশবেড়িয়ার কিশোর শাশ্বত রায় (Saswata Roy)। চন্দননগরের কিছু মানুষের চেষ্টায় একটি ছোট ডোবা বেশ কয়েক বছর হল সুইমিং পুলে রূপান্তরিত হয়েছে। ২০/২৫ কিলোমিটার দূর থেকে এসে সেখানেই চন্দননগর অ্যাকোয়াটিক সুইমিং ক্লাবে প্র্যাকটিস চালিয়ে অদম্য লড়াইয়ের ফসল হিসেবে জাতীয় স্তরে চার চারটি পদক জিতে বাংলার মুখ উজ্জ্বল করল ১৭ বছরের শাশ্বত। ৪০০ মিটার বাটারফ্লাইয়ে পেয়েছে সোনা আর অন্য তিন বিভাগে রুপো। বাবা সুখেন্দু রায় চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশকর্মী হিসাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করেন। ছেলে পড়াশোনার সঙ্গে সাঁতারকে পাখির চোখ করে লড়াই চালায় সাধারণ মানের সুইমিং পুলে। এভাবেই সে এখন রাজ্য ও জাতীয় স্তরের রীতিমতো উজ্জ্বল একটি নাম। শাশ্বত (Saswata Roy) পড়ে একাদশ শ্রেণিতে। স্বপ্ন দেখে সাঁতারে বিশ্বের দরবারে পৌঁছতে। আগামী দিনে তার লক্ষ্য, এশিয়াডে অংশ নিয়ে ভারতের মুখ উজ্জ্বল করা। সুইমিং পুলে পরিণত পরিত্যক্ত ডোবাটিতেই আজ প্রায় বারোশো ছেলেমেয়ে তালিম নিচ্ছে। এদের মধ্যে শাশ্বত একজন। শিগগিরই আকাদেমি হতে চলেছে চন্দননগর অ্যাকোয়াটিক সুইমিং ক্লাব। প্রাথমিকভাবে আবাসিক রাখার সামর্থ্য না থাকলেও আগামী দিনে তারও চেষ্টা চালানো হবে। সেই দিকে তাকিয়েই অপেক্ষায় ভবিষ্যতের এরকম অনেক প্রতিভাবান শাশ্বত।
আরও পড়ুন- রাজ্যের একমাত্র পুরসভাতেও পতন কংগ্রেসের